স্টাফ রিপোর্টার মোঃ রেজাউল করিম জোয়াদ্দার
অবৈধ ভাবে প্রকাশ্যে ৩ ফসলি জমির মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে প্রভাবশালী মহল। চলছে ফসলী জমির মাটিকাটা উৎসব। তিন ফসলী কৃষি জমি পরিনত হচ্ছে পুকুর-ডোবায়। দিন দিন ফসলের উৎপাদন কমছে, বেকার হচ্ছে কৃষক, পরিবেশ হচ্ছে দূষিত।
মাটি পরিবহনে ভারী ট্রাক ও মাহেন্দ্র ট্রলি ব্যবহারে ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়ক হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ। আইন অমান্য করে এমনি কর্মকাণ্ড চলছে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার সিংগা বরুনা ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছে ইটভাটায়। অবৈধ মাহেন্দ্র চলাচলে ধুলার কুয়াশায় ডেকে গেছে গোটা এলাকা।
ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন এবং কৃষি জমির মাটি কাটা আইন (নিয়ন্ত্রক) ২০১৩-এর উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোন মাধমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। কেউ যদি আইন অমান্য করে তাহলে জেল বা জরিমানার বিধান রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কর্ণঝোড়া গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী , সালমান দীর্ঘদিন থেকে অনুমোদন ছাড়াই ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, ফসলি জমির উপরিভাগের ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে মাটির জৈব উপাদান থাকে। সেই মাটি কাটা হলে জমির জৈব উপাদান চলে যায়। এতে জমির স্থায়ী ক্ষতি হয়। ফসলি জমির মাটি কাটা তাই বেআইনি।