today visitors: 5073432

তারাকান্দায় প্রাণোদনা কার্যক্রমের সূর্যমুখী চাষে সফল কৃষক শরীফুল আলম 

 

মো:আলমগীর হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি ময়মনসিংহ।

 

ময়মনসিংহে তারাকান্দায় তারাকান্দায় প্রাণোদনা কার্যক্রমের সূর্যমুখী চাষে সফল কৃষক শরীফুল আলম।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের নগুয়া গ্রামের শরীফুল আলম ২৫ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুনিমা কাঞ্চি সুপ্রভা শাওন এর দিক নির্দেশনায় এবং উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের পরামর্শে স্রযমুখী চাস করেন মৃষক শরীফুল আলম।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুনিমা কাঞ্চি সুপ্রভা শাওন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুনিমা কাঞ্চি সুপ্রভা শাওন বলেন, প্রতিদিন ভোরে সূর্যমুখী বাগানের সকল গাছ অনেকটা প্যারেড দলের মতো পূর্বদিকে মুখ করে থাকে। ঐ দিকে সূর্য দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে উপরে উঠতে থাকে। সূর্যের সাথে সাথে সূর্যমুখীগুলোও ধীরে ধীরে নিজেদের দিক পাল্টাতে থাকে। সূর্য যেদিকে যায় তারাও সেদিকে যায়। সবসময়ই এগুলো সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। সূর্য যখন পশ্চিম দিকে অস্ত যায় তারাও তখন পশ্চিমদিক বরাবর থাকে। অস্ত যাবার পরে তারা সারারাত ব্যাপী আবার উলটো দিকে ঘুরে পূর্বমুখী হয়। নতুন একটা দিনে আবার সূর্যের মুখোমুখি হয়। এভাবে চক্রাকারে চলতেই থাকে। বুড়িয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের এই চক্র চলতেই থাকে।

সূর্যমুখীর কাণ্ড দিনের বেলা সূর্যকে অনুসরণ করে এবং রাতের বেলা বিপরীতমুখী হয়ে আবার সূর্যের জন্য অপেক্ষা করে।

উদ্ভিদের মাঝে সাধারণত এই চক্রের উপস্থিতি থাকে না। খুব অল্প সংখ্যক ব্যতিক্রমের মাঝে একটি হচ্ছে সূর্যমুখী। এই চক্রকে ব্যবহার করে সূর্যমুখী ফুল সবসময় সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে। সূর্যের দিকে মুখ করে থাকলে ফুল আকারে বড় হয় এবং পরাগায়নের জন্য মৌমাছিকে আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে। এই বৈশিষ্ট্য সূর্যমুখীকে টিকে থাকতে সহায়তা করেছে। যে ফুল আকৃতিতে বড় হবে এবং পরাগায়নের জন্য অধিক পরিমাণ মৌমাছি পাবে সেই ফুলের বীজ হওয়া তথা টিকে থাকার সম্ভাবনা অবশ্যই বেশি