ভালোবাসার ফুলের দাম চড়া

 

 

মো: জহিরুল ইসলাম (রুবেল)

স্টাফ রিপোর্টার

 

১৫ টাকার গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়

৬০ টাকার বাসন্তী ক্রাউন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়

চাহিদা অনুসারে প্রতিপিস গোলাপ বিক্রি হতে পারে ১০০ টকা।

ভালোবাসা দিবসে সবাই প্রিয়জনকে দিতে চায় তাজা গোলাপ, বসন্ত উৎসবে যোগ দিতে খোপায় বাধে গাঁদা ফুল। আর সরসতী পূজায় পলাশ ফুল তো লাগবেই। সবমিলিয়ে কদর বেড়েছে ফুলের রানি গোলাপসহ অন্যদের। এবছর বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস ও সরস্বতী পূজা একইদিনে হওয়ায় ফুলের চাহিদা বেশি থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এরপর আবার সপ্তাহ বাদে আসছে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

 

 

প্রতিবছরের মতো এবছরও এসব উপলক্ষকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ফুলের বাজার। ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে বেড়েছে গোলাপ ফুলের কেনাবেচা। পাইকারি বাজার থেকে ফুল ক্রয় করে নিয়ে এসেছেন খুচরো ফুল বিক্রেতারা। এসব ফুলের মধ্যে রয়েছে– গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, রথস্টিক, জিপসি, গ্যালেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকা, বোথাম ইত্যাদি।

 

সাধারণত ৩০০টি গোলাপের প্রতিটি বান্ডিল বিক্রি হয় আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকায়। তবে ভালোবাসা দিবসে এই বান্ডিল বিক্রি হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায়। ফুলের দোকানি ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ভালো মানের গোলাপ ফুল এখন ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালোবাসা দিবসে চাহিদা ও সুযোগ বুঝে প্রতিপিস গোলাপ ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন ফুল বিক্রেতারা। এ ছাড়া রজনীগন্ধার স্টিক মানভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, প্রতিটি গাঁদার মালা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, জারবেরা ফুল ৩০ থেকে ৫০ টাকা, অর্কিড স্টিক ৪০-৬০ টাকা, গ্লাডিওলাস রংভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।

 

আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার কালীবাড়ি রোড এবং আঠারবাড়ি ইউনিয়নের ফুলের দোকানগুলোতে দেখা গেছে- ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কীভাবে নিজের দোকানের ফুলগুলো সবার সামনে ফুটিয়ে তোলা যায় সেই পরিকল্পনা করছেন তারা।

 

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তিন উৎসব একদিনে হওয়ায় প্রত্যেক দোকানিরা প্রায় লাখ টাকার বেশি ফুল বিক্রির প্রত্যাশা করছেন। এ মাসের ১৪ তারিখ এবং ২১ তারিখ সবচেয়ে বেশি ফুল বিক্রি হয়। ১৪ তারিখে গোলাপ আর ২১ তারিখে গাঁদা ফুল বেশি বিক্রি হয়। এসব দিনে ফুলের দোকানগুলোতে অনেকে বাড়তি কর্মচারী ও কারিগর রাখেন।

 

ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার কালীবাড়ি রোডের কাঠ গোলাপ ফুল ঘরের মালিক ঋত্বিক বলেন, প্রত্যাশ অনুযায়ী এখনও ফুল বিক্রি শুরু হয়নি। তবে সন্ধ্যার দিকে এ বিক্রি আরও বাড়তে পারে। এবছর বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস ও সরস্বতী পূজা একদিনে হওয়ায় ভালো ফুল বিক্রির আশা করছি।

 

পায়েল ফ্লাওয়ার হাউজ অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজের মালিক সঞ্চয় গৌড় বলেন, বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুল কেনাবেচা শুরু হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লাখ টাকারও বেশি ফুল বিক্রি হবে।

 

ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. পারভেজ ও নিগার সুলতানা বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে এরই মধ্যে ফুলের চাহিদা বেড়েছে। অন্য সময়ের চেয়ে ফুলের দাম তিনগুণ বেশি। ভালোবাসা দিবসে ফুলের চাহিদা বেশি হয়ে ওঠে, কারণ এটি ভালোবাসা প্রকাশের উপযুক্ত উপহার। ফুলের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ভালোবাসার আনন্দ ও মনোমুগ্ধতা বেড়ে যায়।