মোঃ রমজান হোসেন প্রতিবেদকঃ
নওগাঁর মান্দা উপজেলার ১০ নম্বর নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন এর তফসীল ঘোষণার পর থেকেই দৌড়ঝাঁপ ও গণ-সংযোগ শুরু করেছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। নির্বাচনে ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিয়ে গণসংযোগ শুরু করেছেন। সম্ভাব্য এসব প্রার্থীদের পদচারনায় সর-গরম হয়েছে উঠেছে গ্রাম ও গ্রামের মোড় এবং বাজার সহ ভোটের মাঠ। ইতি মধ্যেই পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে গ্রামের পর গ্রাম, পাড়ায় পাড়ায়, মোড়ে মোড়ে নানাভাবে প্রচারণা চালিয়ে মাঠে নেমে পড়ছেন ভোটাররা। আলোচনা আর সমা-লোচনায় জমে উঠেছে হাট-বাজার ও চায়ের স্টলগুলো।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ ঘরোনার অন্তত ৪জন প্রার্থী এ উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেবেন। এ লক্ষ্য নিয়ে ইতি মধ্যেই তারা গণসংযোগ করছেন। বিগত নির্বাচনে ইচ্ছে থাকলেও দলীয় প্রতীকের কারণে তারা অংশ নিতে পারেন নি। এবারে দলীয় প্রতীক থাকছে না। এ কারণে অনেক টা স্বাচ্ছ্যন্দেই তারা নির্বাচনে লড়তে পারবেন ভোটের মাঠে।
তবে, বিএনপির কোনো প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কি না এখন পর্যন্ত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দলটির ২-১ জন প্রার্থীর নাম সাধারন ভোটার এর মুখে শোনা গেলেও দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা।
এ ইউনিয়ন-এ আওয়ামী লীগ ঘরোনার সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বাধীন কৃষ্ণ রায়, মান্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আকবর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কাজেম উদ্দিন মণ্ডল ও আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা।
এছাড়া জামায়াত সমর্থিত জাইদুর রহমান, নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আল হেলাল সরদার ও ইনডেক্স টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিএম ও জেনারেল কলেজের অধ্যক্ষ মোজাফফর হোসেন। উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফজলুল বারী সাফি বলেন, ‘বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। আমরা এখনও এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যদি কেউ নির্বাচনে অংশ নেয়, সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়।’
মান্দা উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে (বর্তমানে সম্ভাব্য প্রার্থী) স্বাধীন কৃষ্ণ রায়, গোলাম মোস্তফা ও মোজাফফর হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ঐ নির্বাচনে বিজয়ী হোন জামায়াত নেতা ইয়াছিন আলী প্রামানিক। জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ২১ নভেম্বর তিনি মারা যান। এরপর পদটি শুন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মাহবুবুল কবীর জানান, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। যাচাই-বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি ও প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারি। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৭শ’ ৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৩শ’ ৮৭ জন ও নারী ভোটার ১২ হাজার ৩শ’ ৭৭ জন।