today visitors: 5073432

আলহামদুলিল্লাহ। মাত্র ৪ মাস ২৬ দিনে অর্থাৎ ১৪৬ দিনে কুরআনের হাফেজ হলেনে ১৩ বছর বয়সী রবিউল ইসলাম।

তার বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলার মানিকনগর গ্রামে। রবিউলের এমন কৃতিত্বে খুশি শিক্ষক ও তার স্বজনরা। শিক্ষকদের সঠিক দিক নির্দেশনা আর স্নেহ ভালাবাসায় অল্প সময়ে কুরআনের হাফেজ হতে পেরেছে বলে জানায় রবিউল। ভবিষ্যতে একজন বড় আলেমে দ্বীন হয়ে দেশ ও মানুষের খেদমত করার স্বপ্ন তার।

পাবনার বেড়া উপজেলার কৈটোলা ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান রবিউল ইসলাম। বাবা শফিকুল ইসলাম ভাঙরীর ব্যবসা করতেন। বর্তমানে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তার একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। মা শাহানারা খাতুন গৃহিনী। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় রবিউল।

আলাপকালে রবিউল ইসলাম জানায়, শিক্ষা জীবনের শুরুতে প্রথমে তাকে স্কুলে ভর্তি করে দেন তার বাবা-মা। পরে তাদের ইচ্ছা হয় ছেলেকে হাফেজ হিসেবে গড়ে তোলার। সেই লক্ষ্যে বছর দুই আগে রবিউলকে ভর্তি করেন একই উপজেলার মানিকনগর আল মামুন হাফিজিয়া ক্বওমিয়া মাদরাসায়।

সেখানেই পড়াশোনায় সবার নজর কাড়ে রবিউল। এক পর্যায়ে সর্বশেষ ১৪৬ দিনে (৪ মাস ২৬ দিনে) মাত্র ১৩ বছর বয়সে পবিত্র কুরআন হেফজ সম্পন্ন করে রবিউল। নিজের হাফেজ হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত রবিউল। সে জানায়, শিক্ষকদের আন্তরিক চেষ্টা, দিক নির্দেশনা আর ভালবাসায় অল্প সময়ের মধ্যে হাফেজ হয়েছে সে। ভবিষ্যতে একজন বড় আলেম হওয়ার ইচ্ছা তার।

ভর্তি। রবিউল যাতে ভবিষ্যতে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে. একজন বড় আলেম হতে পারে সেজন্য তার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।’

মানিকনগর আল মামুন হাফিজিয়া ক্বওমিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মো. শফিকুল হাসান ও হাফেজ আল আমিন হুসাইন বলেন, ‘আলহামদুল্লিাহ অনেক ভাল লাগছে। এই মাদ্রাসায় এটাই প্রথম এত অল্প সময়ে একজন হাফেজ হয়েছে। আমরা যখন যে দিক নির্দেশনা দিয়েছি সেটি মেনে চলেছে রবিউল। সে অনেক মেধাবী, সে চেষ্টা করছে, যেকারণে এই সফলতা। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই রবিউলকে যেন আল্লাহ আলেম হিসেবে কবুল করেন।’

মানিকনগর আল মামুন হাফিজিয়া ক্বওমিয়া মাদ্রাসার মহুতামিম মাওলানা মুফতি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘রবিউল ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী ছাত্র, মনোযোগী এবং মেহনতী। তার এই মেহনত যদি সে ধরে রাখতে পারে তাহলে একজন যুগশ্রেষ্ঠ আলেম হতে পারবে।’

তিনি আরো জানান, মানিকনগর আল মামুন হাফিজিয়া ক্বওমিয়া মাদ্রাসায় ২৩০ জন ছাত্র আর ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন। মাদ্রাসাটিতে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় মসজিদে ছাত্রদের লেখাপড়া করাতে কষ্ট হচ্ছে। তাই মাদ্রাসার একটি ভবন নির্মাণে সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা প্রয়োজন।