বরিশালের ১০টি উপজেলায় নির্মাণ করা হয়েছে দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র

স্টাফ রিপোর্টার রাজীব হাওলাদার:

জেলার ১০টি উপজেলায় এলজিইডি কর্তৃক প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় নির্মাণ করা হয়েছে সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, ঢাল সুরক্ষাসহ ৪৮টি দুর্যাগ আশ্রয়কেন্দ্র। যা বর্তমানে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রূপে পরিচালিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার ১০টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দুর্যোগ মোকাবেলায় এলজিইডি কর্তৃক ঢাল সুরক্ষাসহ এ দুর্যাগ আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। যা বর্তমানে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রূপে পরিচালিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, যথাক্রমে দুূর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নির্মানাধীন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো হচ্ছে জেলার বানারীপাড়া উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত মধ্য আউয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখি দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র, বানারীপাড়া উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত ৩৯ নং খালিশাকোটা প্রভাতিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখি দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র, বানারীপাড়া উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত ৭২ নং গাবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখি দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র, গৌরনদী উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত ৪৭ নং কান্ডপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখি দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র, বাবুগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত চর জাহানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখি দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র, সদর উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত জুমিনা খাতুন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখি দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রসহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। এ ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্রই একটি প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণকরা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলার বানারীপাড়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী হুমাউন কবির বলেন, জেলার বানারীপাড়া উপজেলায় সর্বমোট ১২টি বহুমুখি দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। যা বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন নামে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রূপে পরিচালিত হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জেলা এলজিইডি-এর নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিগত ডিসেম্বর ২০১৯ সালে প্রস্তাবিত সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, ঢাল সুরক্ষাসহ ৪৮টি দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র এ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে। যার বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ইতিমধ্যে নির্মাণ করা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর কাজ বর্তমানে দ্রুত এগিয়ে চলছে।                                                                                                                                                                                প্রথম বুলেটিন টিম