স্পোর্টস ডেস্ক :
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের শিরোপা ঘরের তোলার পর এবার সাদা পোশাকের লড়াইয়ে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দিচ্ছে অজিরা।
এদিকে সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকেই আলোচনায় অজি ওপেনার উসমান খাজা। পার্থে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। এরপরই আইসিসির শাস্তির মুখে পড়েন এই ওপেনার। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কালো আর্মব্যান্ড পরায় বাঁহাতি এই ব্যাটারকে প্লেয়িং কন্ডিশন ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তবে এই অভিযোগ মেনে নিতে নারাজ এই ওপেনার। আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) এমসিজিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে আইসিসির অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা জানান তিনি। খাজার দাবি, ব্যক্তিগত শোকের কারণে কালো আর্মব্যান্ড পরেছিলেন তিনি।
খাজার ভাষ্য, আমি সব নিয়মই মেনেছি আর অতীতেও এমন ঘটনা আছে ব্যাটে কেউ স্টিকার লাগিয়েছে, জুতায় নাম লিখেছে। অতীতে এমনটা করা হয়েছে আইসিসির অনুমতি ছাড়াই এবং ভর্ৎসনাও শুনতে হয়নি কাউকে। আমি আইসিসিকে সম্মান জানাই, তাদের যা নিয়ম আছে, সেগুলোকেও। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করে বলব, তারা যেন এটি সবার জন্য ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত করে তোলে এবং তারা যেভাবে দায়িত্ব পালন করে তাতে যেন সামঞ্জস্য থাকে। সেই সামঞ্জস্যতা এখনো পূরণ হয়নি। এ ব্যাপারে আমি খুব খোলামেলা ও সৎ ছিলাম। আমি আইসিসির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও নিক হকলির মন্তব্য, এটি এখন আইসিসির বিবেচনা। আরও দূরে গড়ানোর আগে কী ফল আসে, সেটি দেখতে অপেক্ষা করব আমরা।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি, কালো আর্মব্যান্ড পরার ক্ষেত্রে আইসিসির অনুমতি নেননি খাজা। সেটাকেই প্লেয়িং কন্ডিশন ভঙ্গ বলে জানিয়েছে আইসিসি।
সংস্থাটির এক মুখপাত্রের ভাষ্য, উসমান খাজা আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনের পোশাক ও সরঞ্জাম নিয়মের “এফ” ধারা ভঙ্গ করেছেন। এটি “অন্যান্য নিয়ম ভঙ্গের” আওতায় পড়ে।
আইসিসির নিয়ম ভঙ্গের কারণে ন্যূনতম শাস্তি ভর্ৎসনা। ধারণা করা হচ্ছে, খাজাকে ম্যাচ ফি’র ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা হবে। তবে শাস্তির কারণে বক্সিং ডে টেস্ট খেলতে কোনো বাধা নেই তার।
Leave a Reply