নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিপক্ষ বেশ সহজ হলেও ম্যাচটা কঠিন করে জিতেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড একাদশ নামের দলটাতে বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে নেওয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ডের ডেভেলপমেন্ট স্কোয়াড থেকে। তাদের হারাতেও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের অনেক কাছে পৌঁছে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড একাদশ। তবে শেষ পর্যন্ত ৪৯.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৬ রানে হেরে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
সকালে লিঙ্কনের বার্ট ওভালে দুই দলের সম্মতিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। এদিন খেলেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসানরা। দলের নেতৃত্ব দেন লিটন কুমার দাস।
বাংলাদেশ দলের ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও আনামুল হক বিজয়। দুজনের জুটি থামে দলীয় ৪৭ রানের মাথায়। বিজয় বোল্ড হন ৩১ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে।
এরপর সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসানের ১০০ রানের জুটি ভাঙে ৪৬ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলা তানজিদের বিদায়ে। এদিকে লম্বা সময় পর দলে ফিরে সৌম্য সরকার হতাশ করেননি, খেলেছেন ৫৬ বলে ৮টি চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রানের ইনিংস।
এক মাসের ছুটি কাটিয়ে দলে ফিরেই রান পেয়েছেন লিটন দাস। তার ব্যাটে এসেছে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ বলে ৫৫ রান। তবে সবাই যখন রানের উৎসব করেছেন, সেখানে ব্যর্থ হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। তিনি রানের খাতা খোলার আগেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাজঘরে।
আফিফ হোসেন ১০ রান করে ফিরলেও সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে কিউই বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান রিশাদ হোসেন। মাত্র ৫৪ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৬১.১১ স্ট্রাইক রেটে খেলেছেন ৮৭ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত রিশাদের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দারুণ সফল হয়েছেন রিশাদ। ৭.২ ওভার বোলিং করে ৫২ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট। বেশ আঁটসাঁট বোলিং করেছেন আফিফ হোসেন। ৬ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
হাসান মাহমুদ ৬ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। তানজিম হাসান সাকিব ৮ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। অফ স্পিনার রাকিবুল হাসান ১ উইকেট নেন ১০ ওভারে ৬১ রান দিয়ে।
Leave a Reply