মাসুদ রানা, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছোট বোনের থেকে জোরপূর্বক জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বড় ভাই এর বিরুদ্ধে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ২৯ শতাংশ জমি জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে লিখে নিয়েছে তার ভাই।
ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মামুন মন্ডল (গোলাম মোস্তফা)।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে গর্ভধারিনী মা অসুস্থ হওয়ার খবর দিলে উপজেলার গুনভরি নামক স্থনে নানার বাড়িতে অসুস্থ মাকে দেখতে যান মাজু বেগম ও তার স্বামি জাফিরুল ইসলাম ।
পূর্বের পরিকল্পনা মোতাবে মাজুকে রেখে স্বামী জাফিরুল ইসলাম কে বাড়িতে চলে যেতে বলেন মামা মোঃ ফুল মিয়া। পরদিন সেখান থেকে কঞ্চীপাড়া বাবার বাড়ি ও তারপর দিন বড় বোন তাহমিনা আক্তার এর শ্বশুর বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার কূপতলা গ্রামে নিয়ে যায় বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী মাজু বেগমকে। এক মাস ছয় দিন স্বামী সন্তানের সাথে দেখা করতে দেয় নাই এমনটাই অভিযোগ উল্লেখ করে ভুক্তভোগী মাজুর স্বামী । কোথায় তার স্ত্রীকে আটকে রাখা হয়েছিল সে ব্যাপারেও কোনো সঠিক তথ্য সে সময় তাকে দেয় নাই।
সেখানেই আটকিয়ে রেখে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক মানষিক নির্যাতনসহ, বটি দিয়ে জবেহ করার হুমকি প্রদর্শন স্বরূপ তার কাছ থেকে ২৯ শতাংশ জমিন বাড়িতে লিখে নেওয়ার অভিযোগ করে মাজু বেগম।
ইশারায় জানায় ভাইকে জমি লিখে না দিলে বটি দিয়ে জবাই করবে তার ভাই, বড় বোন, মামা এবং গর্ভধারিনী মা। বিভিন্ন নির্যাতন চালায় , গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২৪ তারিখে সদর উপজেলার কুপতলায় ভগ্নিপতির বাড়িতে ডেকে আনে উপজেলার সাব রেজিস্টার কর্মকর্তা ও তার সহযোগকে জমি হেবা দলিলে স্বাক্ষরক টিপ নিয়ে দলিল পার করান ওই কর্মকর্তা ।
মাজু বেগমের মেয়ে জানান, আমার একমাত্র মামা আমাদের কে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে এভাবে জমি দলিল করে নেবে কখনোই ভাবতে পারেনি আমরা সঠিক বিচার চাই এবং আমাদের জমিন ফেরত চাই।
উপজেলার সাব রেজিস্টার মোঃ নাজমুল হুদা জানান, উক্ত দলিলটি তিনি ভিজিটের মাধ্যমে ভুক্তভোগী’র বাড়িতে উপস্থিত থেকে সেখানে লিখিত আকারে জমিন হেবা দলিল করে দেওয়ার সম্মতি জানিয়েছেন মাজু বেগম। সেখানে তিনি কোন অপ্রিতিকর ঘটনা দেখেন নাই মর্মে দলিল করে দিয়েছেন।
মোঃ মাসুদ রানা
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
০১৪০২৪৪০২২৮