প্রতিবেদকঃ নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর জিরো পয়েন্টে বাস-ট্রেন ও আবাসিক হোটেল গুলোকে কেন্দ্র করে চলছে চুরি ও ছিনতাই।
অভিযোগ উঠেছে, মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুরের মত ব্যস্ততম এলাকায় স্থানীয় পুলিশের নজরদারির অভাবে একেরপর এক ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে নিরীহ মানুষ। (১ ডিসেম্বর) রবিবার সোনাপুর ইসলামিয়া সড়কে নিকটস্থ আবাসিক হোটেল থেকে নেমে রাস্তা দিয়ে চলার সময় এক নারীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে পুলিশের অসহযোগিতায় ফেরত আসেন। ছিনতাইকারীদের এমন বেপরোয়া দৌরাত্ম্যে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত বেশ কয়েক দিন ধরে ঘটেছে এমন অসংখ্য ঘটনা।
ঢাকা থেকে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন বিকেল ৩.৩০ মিনিটের সময় ছেড়ে নোয়াখালীতে এসে পৌঁছতে সময় লেগে যায় ৫/৬ ঘন্টা। সে হিসেবে রাতের প্রায় ১১ টা বেজে যায়। রাতের ট্রেনে আগত যাত্রীরা রেল স্টেশন ত্যাগ করার সাথেই শিকার হন ছিনতাইয়ের। সোনাপুর কাটপট্টি রোড, মতিপুর রোড, কালিতারা রোডে সঙ্ঘবদ্ধ চক্র চালায় চুরি ও ছিনতাই। নাম প্রকাশ না করার সর্তে স্থানীয় এক পান দোকানী থেকে জানা যায়, সরকার পতনের পর থেকে সোনাপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসা রোডে ছিনতাইকারী চক্র বেপরোয়া গতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
ছিনতাই চক্রে সদস্য সোনাপুর জিরো পয়েন্টের বাপ্পি ও রিপন গং যুবদল কর্মীর পরিচয়ে দিচ্ছে সঙ্ঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের নেতৃত্ব।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল্লাহ আল ফারুক গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা বাড়াতে হবে।
Leave a Reply