পুঠিয়ার বানেশ্বরে ট্রাফিক পুলিশদের নেই পুলিশ বক্স, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা

মো সিহাবুল আলম সম্রাট, রাজশাহী

ধুলোবালি, রোদ-বৃষ্টি, ঝড় ও শব্দদূষণ ট্রাফিক পুলিশের নিত্যসঙ্গী। দিন-রাত রাস্তায় দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয় তাদের।ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও রয়েছে নানা বিড়ম্বনা। গাড়ির চালক ও পথচারীদের বেশির ভাগেরই রয়েছে আইন ভাঙার প্রবণতা। রাজশাহীর চাকা সচল রাখতে একনাগাড়ে ৮ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করে ট্রাফিক পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গাড়ির বিকট শব্দে কিডনি, হৃদযন্ত্র, কান, মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে জটিল সমস্যা হয় বলে অভিমত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। এ কারণে ট্রাফিক পুলিশের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। আর এ জন্যই রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশের বসার স্থান তৈরি করা জরুরী প্রয়োজন,যা ট্রাফিক পুলিশ বক্স নামে পরিচিত,একটানা দাঁড়িয়ে থাকার পর কিছুক্ষণের জন্য ওই রুমের বক্সে গিয়ে বসে বিশ্রাম নেবেন ট্রাফিক পুলিশ।

রাজশাহী ট্রাফিক পুলিশসহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ সদস্যরা জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করেন। তারপরও, পুলিশের সঙ্গে অমানবিক ও বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে,এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। মনে রাখতে হবে, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পুলিশ। করোনার সময় মা ছেলেকে ফেলে রেখে চলে গেলেও, লাশ দাফন/সৎকার করার জন্য আপন লোক পাশে না থাকলেও পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন। করোনায় আক্রান্ত মা-বাবাকে রাস্তায় ফেলে রেখেছিল সন্তানেরা,সেই সব বাবা-মাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। আমরা যে করোনায় আক্রান্ত হতে পারি, সেদিকেও কেউ তাকায়নি,ক্ষুধার্ত মানু্ষের দ্বারে দ্বারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে সম্মুখসারির অন্যতম প্রধান যোদ্ধা পুলিশ। জাতির যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে পুলিশ পেছনে ফিরে তাকায়নি। নিরবচ্ছিন্নভাবে মানবতার সেবা দিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

রাজশাহী জেলা পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ট্রাফিকে কর্মরত-টি আই মো: আনিসুর রহমান বলেন” ট্রাফিক বিভাগ পুরোপুরি ভাবে সারা বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছেন আমরাও রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ট্রাফিফ পুলিশও পুরোপুরি ভাবে কাজ শুরু করেছি। আমাদের ডিউটি করা অবস্থায় মাঝে মাঝে রেস্টের প্রয়োজনে ও আনুষঙ্গিক কিছু কাজ করতে ট্রাফিক পুলিশ বক্স প্রয়োজন। আগে বানেশ্বর ট্রাফিকে পুলিশ বক্স ছিলো। গত ০৫ আগস্টে বানেশ্বর ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভেঙ্গে, পুড়িয়ে দেই তার পর আর বক্স নেই। ট্রাফিক বিভাগের কাজের সুবিধার্থে বানেশ্বর ট্রাফিকে পুলিশ বক্স প্রয়োজন।
পুঠিয়া থানার বানেশ্বর ট্রাফিক সার্জেন্ট মোঃ আইনুল হক সবুজ, সার্জেন্ট আজাদুল ইসলা, টিএসআই মোঃ রাসেল আলী, টিএসআই রেজওয়ান, এটিএসআই কামরুল ইসলাম সিরাজুল ইসলাম, এটিএসআই মুন্নাফ, কনস্টেবল মোঃ আরিফ খান,আব্দুর রশিদ, আইয়ুব আলীর ভাষ্য,‘আমাদের কষ্টের শেষ নেই, পানি খাওয়ার জন্য সরতেও পারি না। সরলেই রাস্তায় গাড়ির যানজট লেগে যায়,পুলিশের পোশাক গায়ে ধুলোবালির কারণে বেশির ভাগ সময়েই তা অপরিষ্কার ও ময়লা হয়ে যায়, নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাফিক পুলিশকে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি দেওয়া প্রয়োজন। (০১)ঘন্টা ডিউটি করে ০৫ মিনিট রেষ্ট করবে সে জায়গাটুকু অবশিষ্ট নেই ০৫ আগষ্টের পরে এখনও, তারা বলে রাজশাহী হইতে ঢাকা, বানেশ্বর টু চারঘাট রোডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বানেশ্বরে ট্রাফিক পুলিশ বক্স অতি জরুরি, বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক দুলাল সহ পুঠিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

উক্ত বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাকিব হোসেন পুঠিয়া বানেশ্বর ট্রাফিক বক্স স্থাপনজনিত সমস্যা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় উপস্থাপন করেন। পুঠিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর (ইউএনও) বানেশ্বর ট্রাফিক পুলিশের ট্রাফিক বক্স স্থাপনের সমস্যা দূর করার জন্য সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে বসে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক দুলাল কে দায়িত্ব প্রদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *