today visitors: 5073432

টঙ্গী এরশাদনগরের আতঙ্ক ও একাধিক মামলার আসামি বিএনপি নেতা কামু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার মূর্তিমান আতঙ্কের নাম বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম কামু। নিন্মবিত্তের আবাসস্থল খ্যাত এই এলাকায় মাদক, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, মারধর, হত্যাচেষ্টাসহ এমন কোন অপরাধ নেই যার সাথে তিনি সম্পৃক্ত নেই। তার ভয়ে কোনঠাসা হয়ে আছেন খোদ তার নিজ দলীয় নেতাকর্মীরাও। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কামু বাহিনীর দৌরত্ম্যে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। পুলিশের তালিকায় একাধিক পরোয়ানাভুক্ত আসামি হলেও বিএনপির সিনিয়র এক নেতার আশীর্বাদ পুষ্ঠ হওয়ায় এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে তিনি।সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, টঙ্গীর অপরাধ সম্রাজ্য খ্যাত এরশাদ নগর এলাকা সিটি কর্পোরেশন ৪৯ ও আংশিক ৫০ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম কামু যৌবনকাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। ছিলেন টঙ্গী থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে গড়ে তুলেছিলেন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে অস্ত্র আইনে প্রথম আসামি হন তিনি। এরপর গত ২০ বছরে মাদক কারবার, অস্ত্র, হত্যা ও হত্যা চেষ্টা সহ ২৩ টি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। এসব মামলায় আওয়ামী লীগ আমলে দীর্ঘদিন একাধিক বার কারা ভোগ করেছেন তিনি। ৫ আগষ্ট দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পর আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন সাবেক এই যুবদল নেতা। আওয়ামী লীগ আমলে মামলার কারনে ও রাজনৈতিক চাপে পরে নিঃস্ব হলেও মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে তিনি এখন কোটিপতি। ব্যবহার করেন বিলাসবহুল গাড়ি। নিয়ন্ত্রণ করছেন এরশাদনগর এলাকার পুরো মাদক সাম্রাজ্য। তার এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বিব্রত খোদ বিএনপির নেতার।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে আটটি মামলার পরোয়ানভুক্ত আসামি কামরুল ইসলাম কামু। যদিও পুলিশের দাবী তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান আছে। বাস্তবতা হচ্ছে এসব পরোয়ানা ও মামলাকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন কামরুল ইসলাম কামু। মঙ্গলবার সকাল থেকে এরশাদ নগর এলাকায় মসক নিধন কর্যক্রম করতে দেখা যায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত এই নেতাকে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, কামুর বিরুদ্ধে এরশাদনগর এলাকায় কথা বলার কেউ নেই। সকল মাদক ব্যবসায়ীদের তিনি আশ্রয় দিচ্ছেন। তার আশ্রয় প্রশ্রয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরশাদ নগরে বাড়ি বিক্রি বা ক্রয় করলে তার লোকজনকে চাঁদা দিতে হয়। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধেও কিছু বলা যায় না। তার হাত থেকে নিস্তার পেতে সরকারি প্রদক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা অফিসার ইনচার্জ কায়সার আহমেদ জানান। কোটের মাধ্যমে তার মামলার বিষয়টি আমরা জানতে পারি । আমরা যতটুকু জানি তার নামে রয়েছে একাধিক মামলা। এ বিষয়ে সিনিয়ার কর্মকর্তা যারা আছেন তারা সবাই অবগত আছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *