আফগান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে চায় জাপান।
বৃহস্পতিবার (৭নভেম্বর) আফগান সংস্কৃতি ও শিল্প মন্ত্রী মাওলানা আতিকুল্লাহ আজিজির সাথে বৈঠকে এই ইচ্ছার কথা জানান কাবুলে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত জাপানের রাষ্ট্রদূত তাকায়োশি কুরোমিয়া।
বৈঠকে আফগান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় তালেবান নেতৃত্বাধীন ইমারাত সরকারের চলমান প্রচেষ্টার প্রশংসা করে তিনি বলেন, জাপান আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ও অব্যাহত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করে।
প্রতিশ্রুতি পূরণে আফগান সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, বিশেষত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টা আফগানিস্তানে আরো বেশি পরিমাণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন এনে দিবে। তাই জাপান আফগান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে উৎসর্গ করে টোকিওতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করতে চায়। যা আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগানোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরির প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
এছাড়া আফগান সংস্কৃতির প্রতি জাপানের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, জাপান সংস্কৃতিকে রাজনৈতিক বিষয়াদি থেকে আলাদা রাখে। সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ ও প্রকল্পগুলোকে নি:শর্তভাবে সমর্থন করে। তা রক্ষায় সাহায্য সহযোগিতা করে।
অপরদিকে আফগান সংস্কৃতি ও শিল্প মন্ত্রী মাওলানা আতিকুল্লাহ আজিজি জাপান ও আফগানিস্তানের মাঝে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গভীর বন্ধন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। একে অমূল্য ও স্থায়ী বন্ধন বলে আখ্যায়িত করেন।
আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক প্রত্নতত্ত্ব পুনরুদ্ধারে জাপানের দীর্ঘকালীন অবদানের প্রশংসা করেন। ঐতিহাসিক প্রত্নতত্ত্ব পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করে যাওয়ায় দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জাপান আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যা জাতি পরিচয় সংরক্ষণের জন্য অপরিহার্য।
এছাড়া জাপান রাষ্ট্রদূতে কাছে আফগানিস্তান জুড়ে ছড়িয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা উপস্থাপন করেন যা জরুরী ভিত্তিতে উদ্ধার ও সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে জানান।