আমরা আজিজুর রহমানের জন্য বেঁচে আছি,বলেন হতদরিদ্র মহিলা

সিলেট প্রতিনিধি:-

যুক্তরাজ্য প্রবাসী আজিজুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার ১নং লামাকাজি ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রাম, ও আশপাশ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, ক্যান্সার সাপোর্ট টিম ও এডুকেশন সাপোর্ট টিম এবং সোনাপুর গ্রুপ চ্যারেটি ফান্ড নামের সংগঠনের মাধ্যমে৷

সুদূর যুক্তরাজ্যে প্রবাস জীবনযাপন করলেও মাতৃভূমির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতায় নিজ গ্রাম ও আসপাশ এলাকার গরিব ও বেকার যুবকদের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন। এছাড়া গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সেবামূলক সহযোগিতাও অব্যাহত রেখেছেন।

রয়েছে আলাদা আলাদা ফান্ড,ক্যান্সার সহ সকল রুগিদের জন্য আলাদা ফান্ড, এলাকার বয়স্ক নারী,পুরুষের সহযোগিতার জন্য আলাদা ফান্ড,হিন্দুধর্মের মানুষের জন্য ও অসহায় গরিব দিনমজুরী মানুষের জন্য আলাদা ফান্ড, শিক্ষা, এলাকার মানুষের ঘর-বাড়ি নির্মান,ভাঙ্গা রাস্তা-ঘাট সংস্কার, ডিপ টিউবওয়েল নির্মানের জন্য আলাদা আলাদা তহবিল৷

বাংলাদেশ সরকার যেভাবে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, জনগনকে প্রদান করে, ঠিক সেই ভাবেই রয়েছে একটি ভাতা দেওয়ার ফান্ড, প্রতিমাসে উপহার হিসেবে প্রদান করেন তিনি৷

জাতীয় দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকায় সিলেট প্রতিনিধি সাংবাদিক , যুক্তরাজ্য প্রবাসী আজিজুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করে জানার চেষ্টা করেন তিনি কেন মানুষকে সহযোগিতা করেন, কি ভাবে করেন, তাহার আয়ের উৎস কি,

আজিজুর রহমান বলেন: আমি একজন একাউন্টেন্ট, আমার নিজস্ব একাউন্টিং ফার্ম রয়েছে যুক্তরাজ্যে , আমার বড় ছেলে নাঈম রহমান একজন একাউন্টেন্ট, বড় একটা একাউন্টিং কোম্পানিতে কাজ করেন, আমি আমার আয়ের বড় একটি অংশ আল্লাহর সমৃদ্ধির পাওয়ার জন্য দান করি, পরপারে আমি গুনাহগার বান্দাকে যেনো আল্লাহ আমার এসব কাজের জন্য হলেও ক্ষমা করে অন্তত জাহান্নামে না দেন সেই জন্যই কাজ করা৷

আমি আমার নিজস্ব অর্থ থেকে মানুষকে সহযোগিতা করে সকলেকে সহযোগিতা করতে পারি না, তাই আমি আমার পরিবারে সকলের কাছে মাস শেষে আল্লাহর রাস্তায় কিছুটা অর্থ চেয়ে আনি, এবং আমার বন্ধু-বান্ধব, আমার ক্লায়েন্ট এর কাছে সহযোগিতা চেয়ে সকলের পাশে থাকার চেষ্টা করি৷

সাংবাদিকের পশ্ন:- মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে, আপনি এখনো পর্যন্ত কতজন মানুষ কে সহযোগিতা করেছেন, আজিজুর রহমান,আমি এটা জানি না, আমি শুধু সহযোগিতা করেছি, কাকে করেছি জানিনা, এটা জানতে হলে আপনি আমার এলাকায় জান খুজ নেন,

সেই সুত্রে সাংবাদিক টিম,, অনুসন্ধানে বের হন যে তিনি আসলেই মানুষকে সহযোগিতা করেন কিনা, ঘুরতে শুরু করলাম আমরা জানার চেষ্টা করলাম বিশ্বনাথ উপজেলার ১ নং লামাকাজি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড ওয়ার্ড আমরা হাটলাম, তথ্যসূত্র ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উদয়পুর গ্রামের ক্যন্সার আক্রান্ত আব্দুর রজার এর বাড়িতে হাজির হই আমরা জিগ্যেস করি, আজিজুর রহমান নামের কোনো মানুষ কে চিনেন কিনা৷ উত্তরে আব্দুর রজাক জানান চিনেন না৷ আমরা বলি তিনি নাকি আপনাকে চিকিৎসার জন্য ৭৫ হাজার টাকা উপহার দিয়েছেন, তখন তিনি বলেন আমি টাকা পেয়েছি, ক্যান্সার সাপোর্ট টিমের একজন লন্ডনি সোনাপুর গ্রামের এক ভাইয়ে দিছেন টাকা৷

আমরা বুঝলাম তিনি গোপনে দান করেন৷

ঘুরলাম আরো অনেক এলাকায় দেখলাম অনেককেই ঘর দিয়েছেন সম্পুর্ন নির্মান করে৷ দিয়েছেন পানির জন্য ড্রিপ টিউবওয়েলও৷

তবে সবই গুপনে, কাওকেই নাম ফুটানুর জন্য সহযোগিতা করেন নাই তিনি জানান অনেকেই৷

আমরা লামাকাজি ইউনিয়ন ঘুরে ফিরলাম ঘরে,আবারও জানতে চাইলাম আপনি এখন পর্যন্ত কতটা ঘর নির্মান করে দিয়েছেন, তিনি বলতে নারাজ, জানান এসব বললে অহংকারী হয়ে যায় আমি এসব বলব না, আমি শুধু সহযোগিতাই করবো৷

আজিজুর রহমান এর কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছ থেকে জানার চেষ্টা করলাম তিনি কি ভাবে সহযোগিতা করেন, এখন পর্যন্ত কত টাকা সহযোগিতা করেছেন বলে আপনি মনে করেন

তারা বলেন, আমরা নিজেরাই আজিজুর রহমান ভাই এর জন্য কাজ করি, কিছুদিন আগেও আমি নিজ হাতে এক সাথে ৭০,০০০ (সত্তর হাজার) টাকা বিতরন করেছি আমি কি ভাবে অনুমানিক একটা কথাটা বলবো৷ তিনি এখনো পর্যন্ত কম হলেও ১ থেকে দেড় কোটি টাকা মানুষকে সহযোগিতা করেছেন৷

আজিজুর রহমান বলেন, প্রবাস জীবনযাপন করলেও হৃদয়ে থাকে বাংলাদেশ। নিজ গ্রামের নিজ এলাকার গরিব দুঃখী মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। নিজস্ব তহবিল থেকে গরিব দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেছি। এদের মধ্যে যারা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না, তাদেরকে নগদ টাকা সাহায্য দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। অনেক মানুষের শিক্ষার সম্পুর্ন খরছ বহন করে যাচ্ছি৷

এ পর্যন্ত কত জন গরিব, অসহায় ও দুস্থকে চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেছি তা আমি জানি না, আমার জানার দরকার ও নাই সব আমার আল্লাহ জানেন।

তিনি বলেন, মানুষ মানুষের জন্য- এ চেতনা থেকেই যাদের থাকার ঘর নেই, রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কষ্ট ভোগ করছেন, তাদের নতুন ঘরের ব্যবস্থা করেছি।

একটি পরিবারে ছেলে সন্তান হলে সবাই আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে যায়। আজিজুর রহমানের জন্মের সময়ও তেমনটিই হয়েছিল। তার বাবা মা আদর যত্ন করে ছেলের নাম রেখেছিল আজিজুর রহমান, ১৯৭২ সালে সোনাপুর গ্রামের, মৃত রইছ মিয়া’র, কোলে জন্মগ্রহণ করেন, আজিজুর রহমান লেখাপড়া শেষ করে ১৯৯৯ সালে পারি জমান যুক্তরাজ্যে৷ আজিজুর রহমান ৩ সন্তানের জনক৷