today visitors: 5073432

গণঅভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’কে বা কারা

মাত্র ৩৬ দিনে কোটা সংস্কার দাবিতে একটি ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থান সৃষ্ট করে বাংলাদেশের পরাক্রমশালী সরকারের পতন ঘটায় । সরকার পতনের দুই মাসের মাথায় এখন এ আন্দোলনের কৃতিত্বের দাবি নিয়ে কথা উঠেছে। আলোচনা হচ্ছে আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ আসলে কে বা কারা । নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রদের বিশ্বমঞ্চে পরিচয় করে দেওয়ার পর বিষয়টি নতুনভাবে সামনে এসেছে।

জুলাই মাস থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্রদের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত এক গণ-আন্দোলনে রূপ নেয় এবং ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়েন। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বিএনপি, জামায়াত এবং ইসলামপন্থী বিভিন্ন দলসহ একাধিক ছোট দলের নেতাদের বিভিন্ন সভা সমাবেশে আন্দোলনের কৃতিত্ব দাবি করতে দেখা যাচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলনে চার শতাধিক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির সারাদেশের নেতাকর্মীরা এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। ঢাকার চারপাশে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ছাত্রদের সামনে রেখে মাঠের দখল নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করা হয়।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলনের শেষ দিন পর্যন্ত ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মামুন খান। তিনি বলেন, এ আন্দোলনে সব শ্রেণির মানুষ মাঠে নেমেছিল। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ডাকে নেতাকর্মীরা মাঠে নানাভাবে সহযোগিতা করেছে বিভিন্ন স্পটে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাই কাউকে এককভাবে মাস্টারমাইন্ড বলা অনুচিত। এখানে মাস্টারমাইন্ড ইত্যাদি যে আলোচনাগুলো যারা করছে, তারা নিজেদেরকে বিতর্কিত করছে, ছোটো করছে। এ ক্ষেত্রে আন্দোলনে নিজ দল ও নেতার ভূমিকা তুলে ধরে তার প্রশ্ন- কিসের ভিত্তিতে কাকে মাস্টারমাইন্ড বলা হবে?