তরুণ লেখকদের সংগঠন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২০২৪-২৫ কার্যবর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গ্যঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে। এতে মোহাম্মদ রায়হান উদ্দীন ছিদ্দিকীকে সভাপতি এবং তানজিদ শুভ্রকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২৬ শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে নব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ির সন্তান তারেক আল মুনতাছির ২য় বাবের মতো সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
তারেক আল মুনতাছির বাংলাদেশের বিভন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয়
পত্রিকায় লেখালেখি করেন। তিনি এলাকায় তরুণদের মাঝে নতুন প্রতিভার জাগরণ তৈরি করেছেন। তিনি ২২-২৩ কর্যবর্ষে সাহিত্য ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং সেরা সংগঠকের পুরষ্কার পান। তিনি ২৩-২৪ কর্যবর্ষে সহ সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে। বর্তমানে ২৪-২৫ কর্যবর্ষে তাকে আবারও সহ সাংগঠনিকের পদে অধিষ্ঠিত করেছেন।
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তারেক আল মুনাতছির সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমার প্রতিশ্রুতি থাকবে এই ফোরামের কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করা এবং সবার সহযোগিতায় লেখালেখির জগতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। আশা করি, আমরা একসঙ্গে কাজ করে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারব।
উল্লেখ্য যে, এই সংগঠনটি ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করে। তরুণ লেখকদের প্রতিভাকে বিকশিত করতে এই ফোরামটি নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমাদের ফোরামের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো, নতুন লেখকদের জন্য পরামর্শ প্রদান করা, তাদের লেখা প্রকাশে সহায়তা করা এবং নিয়মিত সভা, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। বর্তমানে, এই ফোরামের কার্যক্রম দেশের প্রায় ১৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো, তরুণদের লেখার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় এই মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।