মোংলা প্রতিনিধি
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫
সুন্দরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকবাহী নৌযান (ছবি: বাংলা ট্রিবিউন)
সুন্দরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকবাহী নৌযান (ছবি: বাংলা ট্রিবিউন)
বলা হয় বর্ষা বা শীত মৌসুম সুন্দরবন ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। বৃষ্টির পানিতে বনের বিভিন্ন স্থান কানায় কানায় পূর্ণ ওয়ে ওঠে। এই জলরাশির ওপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সুন্দরী ও করম গাছের বন। স্বচ্ছ পানি, সুন্দরবন লাগোয়া নদীর মৃদুমন্দ ঢেউ, অগণিত পাখির কলতান পর্যটকদের মন ভুলিয়ে দেয়।
কিন্তু বিধিবাম! সুন্দরবন দেখতে আসা পর্যটকরা টানা ভারী বৃষ্টিতে তার কিছুই উপভোগ করতে পারেননি। যে কারণে পুরো সুন্দরবন না দেখেই ফিরে আসতে হয়েছে প্রায় ৪০০ ভ্রমণপিপাসুকে।এই তথ্য জানিয়ে পূর্ব সুন্দরবন করমজল বন্যপ্রাণী ও পর্যটনকেন্দ্রের ওসি হাওলাদার আজাদ কবির রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে জানান, টানা ভারী বৃষ্টির কারণে গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে করমজল পর্যটনকেন্দ্রে কোনও পর্যটক আসেননি। বনের আরেক সৌন্দর্যময় স্থান কটকা ও কচিখালীতে ৯টি পর্যটকবাহী লঞ্চ বা নৌযানে চেপে প্রায় ৪০০ পর্যটক আসলেও সুন্দরবন না দেখেই ফিরে গেছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, ‘কটকা ও কচিখালীতে শুক্রবার সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য দি ওয়েভ, মোহাম্মদিয়া-২, আল আসকা, সিলভার ক্রুস, জলফড়িং, সুনশাইন, রেইনবো, রেজাদ ও সিপাল-৩ লঞ্চে চেপে প্রায় ৪০০ পর্যটক প্রবেশ করেন। কিন্তু ভারী বৃষ্টিতে ওইসব পর্যটক কটকা ও কচিখালীর ভূমিতেই পা রাখতে পারেননি। সুন্দরবন না দেখেই ফিরে আসেন তারা।’
ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ী গোলাম রহমান বিটু বলেন, ‘সুন্দরবনের কটকা ও কচিখালী হরিণ ও পাখি দেখার জন্য ভালো জায়গা। কটকা অনেক বিরল বন্যপ্রাণীর জন্য সুপরিচিত। কিন্তু এই কটকা ও কচিখালী দেখতে যে পর্যটকরা এসেছিলেন তারা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আবার ফিরে গেছেন।’ একই সাথে তারাও (ব্যবসায়ী) আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।