today visitors: 5073432

তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধায় আওয়ামী লীগ -বি এনপি সংঘর্ষে আহত ১৪, পুলিশ হেফাজতে ৭জন ।

তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় প্রতিনিধি,মেহেদী হাসান মিরাজ।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন এবং পুলিশি হেফাজতে (৭ জন) ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সিপাহীপাড়া বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সংঘর্ষের এঘটনাটি ঘটে। এসময় ৫টি রামদা সহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে পুলিশ ও বিজিবি। পরে আহতদের উদ্ধার করে তেতুঁলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এর মধ্যে কয়েকজন সামান্য আহত হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাহয় । পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় ৭ জন স্থানীয় মানুষকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়। এর মধ্যে ৩ জনের শারিরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সোমবার দুপুরে স্থানীয় এক বিএনপি সমর্থক হোটেল ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা ও ভাংচুর চালায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলনের সমর্থকেরা। এসময় বিএনপির সমর্থকরা এগিয়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এই ঘটনাটি ঘটে।
এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১৪ জন আহত হয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির আসবাবপত্র সহ অন্যান্য সরঞ্জাম, ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও বিজিবির তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব রাশেদ আলী সরকার বলেন, মিলন চেয়ারম্যানের ভাড়াটে লোকজন দুপুরে সিপাই পাড়া বাজারে শোডাউন দিয়ে বেড়াচ্ছিল। এক পর্যায়ে তারা আমাদের লোকজনের উপরে হামলা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা এখন হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন।
বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলন বলেন, তারা আমার বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও ঘর থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণ লুটপাট করে। তারা আমার ব্যবহৃত গাড়িতে, একটি ট্রাক্টরে ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাড়ির ফ্রিজ, আলমারি সহ বিভিন্ন মালামাল সব কিছুই পুড়ে গেছে। কোন কিছুই বাঁচাতে পারিনি।
তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, হামলার খবর শুনে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এখন সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৭ জনকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এঘটনায় কোন অভিযোগ হলে বা কেউ মামলা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে যানান তিনি ।