স্বপন রবি দাস,হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এস.এম আমানুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহনের ১৮ দিনের মাথায় নিজ এলাকার হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ও জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ পরিদর্শন করেছেন। এসময় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন ভিসি।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলেজ গভার্নিং বডির সভাপতি ফারজানা আক্তার মিতার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাজী গোলাম মোস্তুফা।
মানপত্র পাঠ করেন প্রভাষক মোঃ রহমত আলী, বক্তব্য রাখেন শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈনুল হাসান রতন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সচিব আমিনুল আক্তার, একান্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, থানার ওসি মোবারক হুসেন ভুইয়া, এডভোকেট নুরুল আমীন শোয়েব, উপজেলা সাংবাদিক ফোরামে সভাপতি মিজানুর রহমান সুমন, শিক্ষানবিস আইনজীবি সাইফুর রহমান ফয়সল, শামছুল আলম রিপন সহ অত্র কলেজে শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দবিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ
সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
অত্র কলেজের বিভিন্ন দাবীগুলোর কথা শুনে উপাচার্য বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ যেহেতু আমার নিজের এলাকা সেহেতু আলাদা একটু টান থাকবেই। কিন্তু সারা বাংলাদেশের কলেজগুলো নিয়ে আমাদের দৌঁড়াতে হচ্ছে। ঢাকাতে বসে বসে ৬৪ জেলার কলেজগুলোর গভর্নিং বডি তৈরি করতে হচ্ছে। আমরা কোনো ধরণের চাপের কাছে মাথা নত করব না। কলেজ যেভাবে ভালো চলে আমরা সে ভাবে চালাব। আমরা যদি না পারি চলে যাবো। উপাচার্যের পদ সারাজীবনের জন্য নয়।
ভিসি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বৈষম্য যদি পাই তাহলে জিরোটলারেন্স। আমার কোনো এজেন্ডা নাই, কাউকে চাকরী দেওয়ার চিন্তা নাই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক কাপ চা না খেলেও আমার চলবে। একটাই মেসেজ অতীতে যা হয়েছে তা ভূলে যান। গত ১৫, ১৬,১৭ বছরে কী হয়েছে এগুলো আমরা খোজে বের করার চেষ্টা করব।
পরে ভিসি জহুর চান বিবি মহিলা কলেজটি পরিদর্শন করেন এবং কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। এসময় অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন কলেজের বিভিন্ন সমস্যা সম্ভাবনার দিক ভিসির কাছে তুলে ধরলে তিনি সার্বিক পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে ডিগ্রি কোর্স চালুর আশ্বাস প্রদান করেন