স্টাফ রিপোর্টার।
হবিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর কিছু সুবিধাবাদীরা নিজেদের ভিন্ন পরিচয়ে উপস্থাপনা করতে ব্যস্হ হয়ে পড়েছে। জানা যায় গত ৪ই আগষ্ট হবিগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটে এতে একজন নিহতসহ অনেকেই আহত হয়, এসময় বানিয়াচং উপজেলার আলমপুর গ্রামের মৃত সজলু মিয়ার পুত্র মোশাহিদ গংরা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষে শিক্ষার্থীদে উপর হামলা চালায় এতে মোশাহিদ ও আহত হয় পরে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসা দেওয়া হলেও , ৫ই আগষ্ট হাসিনা সরকার পতনের পরই মোশাহিদ নিজেকে একেক সময় বিএনপি ও জামাত শিবির কর্মী পরিচয় দিতে থাকে। পরে ৫৮জনের নাম উল্লেখ আরও গং ১৫০/২০০কে আসামি করে গত ৮ই সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করে উক্ত মামলায় আসামী করা হয় হবিগঞ্জ চৌধুরী বাজারের বাশঁ ব্যবসায়ী আঃ ছমেদ মিয়ার পুত্র কায়ছার মিয়া ও উমেদনগর গ্রামের সজলু খানের ছেলে পাইভেট কার চালক সুহেল মিয়া, বাদ দেওয়া হয়নি আওয়ামীলীগের অনেক নেতাদের ও উক্ত মামলায় অনেক নিরীহ মানুষ ও যারা আন্দোলন বা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কখনও জড়িত ছিলেন না তাদের কে আসামি করা হয় এতে হতবাক হয়ে যান অনেকেই
এ বিষয় ভুক্তভোগীরা জানান মোশাহিদ একজন প্রতারক কুখ্যাত সন্ত্রাসী সে আলমপুর গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী মামুন হত্যার অন্যতম আসামী মোশাহিদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অনেকেই নির্যাতিত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা সহ জায়গা দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। হাসিনা সরকারের আমলে গত ১৬ বছর যাবত আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় বহু অপকর্ম করে আসছিল, কিন্তু বর্তমানে নিজেকে জামাত শিবির কর্মী পরিচয় দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে, এমনকি মামলায় আসামী করা ও বাদ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনকে হুমকি ধামকি দিয়া মোটা অংকের চাঁদা দাবী করার অভিযোগ ও পাওয়া গেছে। মোশাহিদের ফেইসবুক আইডি ঘুরে দেখা যায় সে আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী ছিল কিন্তু হঠাৎ করে কি ভাবে নিজেকে বিভিন্ন দলের কর্মী ছিল। এতে জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে । মোশাহিদের মিথ্যা মামলা থেকে অনেকেই পরিত্রান পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, সেই সাথে মোশাহিদ বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেওয়ারও দাবী ভুক্তভুগীরা।