today visitors: 5073432

আওয়ামীলীগের অনুসারী মোশহিদ শিবির কর্মী হয়ে মামলা দায়ের।

স্টাফ রিপোর্টার

হবিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আলমপুর গ্রামের মৃত সজলু মিয়ার পুত্র মোশাহিদ মিয়া বাদী গত ৮ ই সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০/২০০ জনকে অজ্ঞাত নামে একটি মামলা দায়ের করে। এতে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, জানাযায় মোশাহিদ মিয়া গত ৪ই আগষ্ট হবিগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগের পক্ষে আলমপুর গ্রাম থেকে হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের নেতৃত্বে মোশাহিদ সহ বেশ কয়েকজন যুবক শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্স ভয়াবহ হয়ে উঠে, পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলার বাহিনী টিয়ারসেল সহ ফাঁকা গুলি চালায়, এতে অনেকেই আহত ও নিহত হয়, এসময় মোশাহিদ ও আহত হয়, পরে মোশাহিদের চিকিৎসা বহন করে যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম সহ আওয়ামী পরিবার, কিন্তু ৫ই আগষ্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে মোশাহিদ গংরা রুপ পাল্টাতে থাকে, নিজেকে একেক সময় বিভিন্ন দলের কর্মী পরিচয় দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে, এমনকি মামলার বাদী মোশাহিদের ফেইসবুক আইডি kazi Mushahid থেকে একাধিক বার নিজের আওয়ামীলীগ পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবিসহ বিভিন্ন পোস্ট রয়েছে , কিন্তু গত ৮ই সেপ্টেম্বর মামলা দায়েরের পর থেকে সম্পুর্ন প্রেক্ষাপট বদলে যায় মোশাহিদের, তারপর থেকে সে শিবির কর্মী আবার জামায়াতে সদস্য বলে নিজেকে পরিচয় দিতে থাকে এমনকি

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব জিকে গউছ আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়ার সময় মোশাহিদ সেই সুবিধা নিতে ও পিচ পা হয়নি। শুধু তাই নয় মামলায় আসামী করা হয় আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতাদের ও সেই সাথে অনেক নিরীহ মানুষ সহ তার বেক্তি আক্রোশ মেটাতে বাদ যায়নি অনেক ছোট খাটো ব্যবসায়ীরাও, তার এই সুযোগসন্ধানী কর্মকাণ্ডে হতবাক আলমপুর গ্রামবাসী এমনকি বিএনপির পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে মোশাহিদ দলের কেউ নয়, এছাড়াও জামায়তের কেন্দ্রের পক্ষে থেকে বলা হয়েছে যে তাদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের মামলা করা হবে না, এমন নির্দেশ থাকার পরও মোশাহিদ নিজেকে জামাত শিবিরের কর্মী পরিচয়ে মামলা করে পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অনেকের ধারণা।
এই মামলায় নিরীহ অনেক আসামীরা বলেন মামলাটিতে অনেক নির্দোষ মানুষকে আসামি করা হয়েছে তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যেন ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি করেন ভুক্তভুগীরা।