লিমন সরকার ( ঠাকুরগাঁও) জেলা প্রতিনিধি ঃঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে নওডাঙ্গা রেডিয়েন দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঐ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র রায়। সোমবার সন্ধায় পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, নওডাঙ্গা রেডিয়েন দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ গত বছরের ০৯ অক্টোবর অবসর গ্রহণ করেন। তৎকালীন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সহকারী শিক্ষক রমেশ চন্দ্র রায়কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করেন এবং তিনি গত ১১ আগষ্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব প্রদান কালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের চাবি ও আংশিক কাগজপত্র তাৎক্ষনিক ভাবে বুঝে দেন। অন্যান্য দাপ্তরিক কাগজ পত্র প্রদান করেননি। বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় এর হিসাব নিকাশ, শিক্ষক কর্মচারীর নিয়োগ-যোগদান ফাইল, চলমান রেজুলেশন বহি, মিনিষ্ট্রি অডিট রিপোর্ট, কোম্পানীর অডিট রিপোর্ট, ক্যাশ বহি এবং অন্যান্য নথি বুঝে দেওয়ার জন্য অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কামলাম আজাদকে কয়েকবার নোটিশ প্রদান করা হলেও তিনি বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপন করে বিদ্যালয়ের ক্ষতি সাধন করেছেন। বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে দাতা, প্রতিষ্ঠাতা এবং এলাকাবাসী সম্প্রতি মানব বন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। সেই মানব বন্ধন ও সমাবেশের প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করেছেন। যা আদৌ সত্য নয়। তিনি ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি বাবুল হোসেনকে ম্যানেজ করে কৌশলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপর চাপ প্রয়োগ করে তার অবসর সুবিধার ফাইল স্বাক্ষর করে নিয়েছেন। বিদ্যালয়ের এফডিআর এর বাবদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রদান করেননি। কারণ বিদ্যালয়ের এফডিআর হলো একটি ব্যাংকিং সিষ্টেম তথা এফডিআর এর সনদ কপি তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রদান করেননি। অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো সহ তার মিথ্যা বক্তব্যের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের শাস্তির দাবি করেছেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র রায়।
এ বিষয়ে অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ সত্য নয়। তিনি বিদ্যালয়ের সব কিছুই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র রায়কে বুঝে দিয়ে এসেছেন।