ধামইরহাটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

মোঃ সহিদুল ইসলাম ধামইরহাট নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর ধামইরহাটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জোনাল অফিসের কার্যক্রমের অনেক অনিয়ম, আগের অফিস বাদ দিয়ে নতুন অফিসটির কার্যক্রম শুরু হবার পর থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় বিভিন্ন নেতা কর্মীদের ছত্রছায়ায় কিছু লোক শুরু করে দালালি দালাল ছাড়া কোন কাজ হয় না গ্রাহকদের মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দালাল ধরে কাজ করে নিতে হয় পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। দালালদের সুযোগ করে দেন বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা বিদ্যুৎ সমিতির, সভাপতি মিজানুর রহমান, বিনিময়ে তাদের নিকট থেকে নির্দিষ্ট অঙ্ক নিতেন কর্মকর্তারা। এই সুযোগে কর্মচারীরা বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
অনিয়ম, দুর্নীতি, ভুতুড়ে বিল আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকরা। গ্রাহক নিজে কোন কাজ করতে গেলে পাত্তা দিতেন না পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত কর্মকর্তারা কাজ করিয়ে নিতে হয় ওই অফিসের দালালদের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের নিকট কোন কাজ নিয়ে গেলে কাগজপত্রের ভুল বের করে ওই কাজ নিয়মের মধ্যে পড়ে না, তাই কাজ হবেনা বলে জানিয়ে দেন গ্রাহকদের। কাগজপত্র হাতে নিয়ে অফিস রুম থেকে বের হয়ে আসলে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দালাল নিজেই গ্রাহককে বলে আপনার কাজ হলো? গ্রাহক তার কাজ হয়নি জানালে, দালাল তার কাজ করে দিতে পারবে বলে গোপন স্থানে নিয়ে গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দাবী করে নিরুপায় হয়ে গ্রাহক মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সেই কাজ করে নিতে বাধ্য হন, সময়মত বিল পরিশোধ করেও পরের মাসে বিলের কাগজে পূর্বের বিল তুলে দেওয়া হয় এমন অভিযোগও রয়েছে গ্রাহকের। বিল কপিতে ব্যবহৃত ইউনিটের কলাম শূন্য থাকলেও পরিশোধের কলামে বিরাট অঙ্কের টাকা বসিয়ে বিল সরবরাহ ও আদায় করা হয়। বিদ্যুতের ব্যবহার স্বাভাবিক থাকলেও হুটহাট করেই মাস শেষে বিল বেশি দিতে বাধ্য করা হয় গ্রাহকদের। চলে সীমাহীন লোডশেডিং। মাঝে মধ্যেই লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ করে তোলে ধামইরহাট উপজেলাবাসীকে, উপজেলার বড়থা গ্রামের গ্রাহক সাকিল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তিনি সময়মত বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে পান না। কোন মাসে বিল পরিষদের শেষ তারিখের ১দিন আগে তার বাড়িতে বিলের কাগজ দেওয়া হয়। কখনো কখনো আবার এমন সময় কাগজ দেয় যে, বিল পরিষদ করার সময়ও থাকে না। পলাশবাড়ী গ্রামের মোসেকুল ইসলাম জানান, তার প্রায় মাসে ৫ থেকে ৬শো টাকার মধ্যে বিল আসে। বিদ্যুৎ ব্যবহার একই রকম থাকলেও হঠাৎ করে কোন মাসে ১৫ থেকে ১৭শো টাকা বিল চলে আসে, নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ধামইরহাট জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ সাজ্জাদুল আজম জানান, ধামইরহাট অফিসে কিছু দালাল চক্র গ্রাহকদেরকে নানা অজুহাত দেখিয়ে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ আসছিল এখন সম্পূর্ণ দালাল মুক্ত এবং তিনি আরো বলেন সকল গ্রাহক সরাসরি আমার অফিস কক্ষে এসে তাদের সমস্যাগুলো জানাক এবং আমি সমস্যাগুলোর সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করব এবং পল্লী বিদ্যুতের সকল কার্যক্রম গ্রাহক সেবা প্রদানের জন্য আমি সর্বদাই প্রস্তুত এবং তাদের জন্য আমার অফিস কক্ষ সব সময় খোলা ।
সাময়িক বিদ্যুৎ লোডশেডিং এর কারণে তিনি বলেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে এমন সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ সঠিক প্রদান করিলে এমন লোডশেডিং আর থাকবে না বলে জানান তিনি।