today visitors: 5073432

রাজবাড়ীতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় ৫০ লক্ষ টাকার মানহানি মামলা

 

\(রাজবাড়ী) প্রতিনিধি\

রাজবাড়ীর কালুখালীতে সাংবাদিক মুহাম্মদ ফজলুল হক এর নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় কথিত ৩ জন সাংবাদিক ও অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালের ১ জন প্রকাশক ও ১জন সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী বিজ্ঞ কালুখালী আমলী আদালতে ৫০ লক্ষ টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাজবাড়ী আদালে দন্ডবিধি ৫০০/৫০১/৫০৬ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন রাজবাড়ী জেলা রিপোর্টাস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কালুখালী উপজেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ ফজলুল হক। রাজবাড়ী আদালতের বিচারক সুধাংশ শিখর রায় মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কে তদন্ত করতে নির্দেশ প্রদান করেন। রাজবাড়ীর বিজ্ঞ কালুখালী আমলী আদালতে মামলা নং- সি.আর ৬৪/২৪, তাং- ০২/০৯/২০২৪ ইং।

মামলায় আসামী করা হয়েছে কালুখালী উপজেলার শিবানন্দপুর গ্রামের মোঃ শহীদুল ইসলাম মোল্লার স্ত্রী সাহিদা পারভীন, একই গ্রামের মৃত ছানোয়ার মোল্লার পুত্র মোঃ শহীদুল ইসলাম মোল্লা, কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউপির জহির সরদার এর পুত্র জুয়েল সরদার, দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা অনলাইনের প্রকাশক মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, ঐ অনলাইনের সম্পাদক লাভলী আহমেদ উভয় সাং- ঢাকা অফিস হোল্ডিং-১৩ (৪র্থ তলা), লাইন-৬, রোড-১২, বøক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।

মামলার বিবরণে জানাযায়, গত ২১ আগস্ট ৫ নং আসামীর সম্পাদনায় ও ৪ নং আসামীর প্রকাশনায় “দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা” অনলাইন নিউজ পোর্টালে ১নং আসামী কর্তৃক বাদীর বিরুদ্ধে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। ২২ আগস্ট ২নং আসামী কর্তৃক ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রদান, ২৮ আগস্ট কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া বাজার এলাকায় মামলার স্বাক্ষীর চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন স্থানে ঐ অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ প্রিন্ট করে বাদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অশোভন উক্তি সহ বিলি বন্টন ও প্রচার করে।

আরও জানাযায়, বাদী একজন সাংবাদিক। রাজবাড়ী জেলার সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠন রাজবাড়ী জেলা রিপোর্টাস ক্লাব এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০২৪ সালে কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা করেন। বাদীর পেশাগত, সামাজিক কর্মকান্ড এবং জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রীমহল দীর্ঘদিন যাবৎ বাদীর সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে।

২নং আসামী মোঃ শহীদুল ইসলাম একজন সাংবাদিক। তিনি বিভিন্ন সময়ে অনলাইন পোর্টাল সহ নাম সর্বস্ব পত্রিকায় এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে নানারকম কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ ছাড়াও ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থ আদায় করে থাকেন। ২নং আসামীর স্ত্রী ১নং আসামী একজন নারী হওয়ায় বিভিন্ন সময় স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন আবার নিজে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে পত্রিকা ও অনলাইনে প্রতিবাদ প্রকাশের নামে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আপোষরফা করেন।

৩নং আসামী ফেসবুকে চটকদার উক্তি প্রকাশের মাধ্যমে সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের সম্মান নষ্ট করে থাকেন। সাংবাদিকতার ছদ্দবরণে বিভিন্ন সময় সমাজের বিত্তবান ও সম্মানিত ব্যক্তিদের বøাকমেইলের মাধ্যমে অর্থ আদায় সহ ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যা ও মানহানিকর উক্তি ও ছবি জনসম্মুখে প্রচার ও প্রকাশ করেন। সে বাদীকে হত্যার হুমকি প্রদান সহ নানাভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ক্ষতিসাধনের চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন।
১নং আসামী নিজেকে ৫নং আসামীর সম্পাদনায় ও ৪ নং আসামীর প্রকাশনায় প্রচারিত নাম সর্বস্ব ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল “দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা” এর কালুখালী (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে বাদীর ব্যক্তিগত ও সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে “কালুখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে যৌনকর্মকালে এক বীমা কর্মী ধৃত” শিরোনামে বাদীর একটি ছবি দিয়ে সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করেন।

২ ও ৩নং আসামী উক্ত অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ফটোকপি করে বাদীর সম্মান হানির জন্য রতনদিয়া বাজারের নজরুল বাউলের চায়ের দোকানে সহ বিভিন্ন স্থানে বিলিবন্টন করার সময় স্বাক্ষী আলোকচিত্র ধারন করেন।

৩ নং আসামী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজ নামে পরিচালিত ঔববিষ ঝধৎফধৎ আইডি থেকে “কালুখালীতে গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে সাংবাদিক ফজলু, বিস্তারিত কমেন্টে—” উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেন।

২নং আসামী তার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার অনুগত ৩নং আসামীর ফেসবুক আইডিতে বাদীর বিরুদ্ধে মানহানীকর পোস্ট আপলোড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল সহ বাদীর নাম ধরে অশ্রাব্য ভাষায় উক্তি ও জনসম্মুখে মিথ্যা উক্তিমূলে প্রদর্শন ও বিলিবন্টন প্রচার করেন।

আসামীগন পরস্পর যোগসাজসে অনুমোদনবিহীন অনলাইন নিউজ পোর্টালে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ, ফেসবুকে অশালীন উক্তি সহ বিভিন্ন স্থানে প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদ এর ফটোকপি বিলিবন্টন ও প্রচার করে বাদীর সুনাম ক্ষুন্ন করিয়াছে। ফলে আসামীগণ কর্তৃক বাদীর আনুমানিক ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।