today visitors: 5073432

আমতলীতে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে দোকানে হামলা ভাংচুর

 

বরগুনা প্রতিনিধি – মাসুম বিল্লাহ

বরগুনার আমতলীতে জমি জমা বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে মারধোর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের মীরা বাড়ীর মোঃ মিলন মীর।

মামলা সুত্রে জানা যায়, হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া সাকিনস্থ ইবতেদায়ী মাদ্রসার উত্তম পশ্চিম পার্শ্বে ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ নামে মামলার বাদী মিলন মিরার একটি সার ও কীটনাশকের দোকান রয়েছে।ঐ দোকানে (৩০ আগষ্ট ,শুক্রবার) বিকাল ৩ ঘটিকার সময় একই ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মোঃ জামাল রাঢ়ী (৪০), মোঃ হারুন রাঢ়ী (৫০), মোঃ কামাল মীর (৩৫), মোঃ ছালাম রাঢ়ী (৪৭), মোঃ সজিব রাঢ়ী (২৫), আল আমিন (৩০) মামলার বাদীর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের হামলা লুট ও বাদীকে মারধোর করে ৫০ হাজার টাকা চাদা দাবী করেন এবং বাদীর দোকানে মধ্যে জোর পূর্বক অনধিকার প্রবেশ করিয়া দোকান ঘরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র, সার ও কীটনাশক, বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র (৪ টি চেয়ার, ১টি টেবিল, ক্যাশবাক্স, ২টি ফ্যান, ৪টি এনার্জি সেইভিং বাল্ব, বৈদ্যুতিক তার ও সুইজ) ও সার মাপার ১টি ডিজিটাল মিটার কোপাইয়া ও পিটাইয়া ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে এ সময় দোকানের ক্যাশবাক্সের তালা পিটাইয়া ভাঙ্গিয়া ক্যাশবাক্সের মধ্যে থাকা নগাদ ৬০ হাজার টাকা এবং প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাগজপত্র লুট করিয়া নিয়া যায়। এসময় মামলা বাদী মিলন মির কে মারধোর করে তার পকেটে থাকা পকেটে থাকা নগদ ১২ শত) টাকা জোর পূর্বক ছিনাইয়া নিয়া যায়।

তখন মামলার বাদী জীবন বাঁচাইতে ডাক চিৎকার করিলে স্থানীয় লোকজন চলে আসলে সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় মিলন মীরকে উদ্ধার করিয়া আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি করেন।

এঘটনায় মিলন মীর বাদী হয়ে ১ সেপ্টেম্বর মোঃ জামাল রাঢ়ী (৪০) মোঃ হারুন রাঢ়ী (৫০), মোঃ কামাল মীর (৩৫) মোঃ ছালাম রাঢ়ী (৪৭), মোঃ সজিব রাঢ়ী (২৫) আল আমিন (৩০)আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশদেন।

মামলার বাদী মিলন মীর বলেন, প্রায় অর্ধশত বছর ধরে আমাদের রেকডিও সম্পত্তি আমরা ভোগ দখল করে আসছি। শুক্রবার ৩০ আগষ্ট উক্ত জমিতে মামলার আসামীরা চাষাবাদ করতে যায় । আমরা বাঁধা দেওয়ায় আমার দোকানে হামলা লুট পাট ও আমাকে মারধোর করেছে। আমি এ ঘটানার বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, আহত মিলন মিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখমের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ জামাল রাঢ়ী (৪০)এর বক্তব্য জানার জন্য একাধিক বার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ৩ সেপ্টেম্বর মামলার ১ নং আসামী মোঃ জামাল রাঢ়ী (৪০) বাদী হয়ে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলার বাদী মো. মিলন মীর (৪৮) ও মামলার সাক্ষীদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন । বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা গোয়েন্ধা পুলিশকে তদন্তের আদেশ দেন।