রবিউল ইসলাম প্রথম বুলেটিন
অত্যাচার, নিপীড়ন সহ মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছে সেই শাসক গুষ্টি কে সবচেয়ে কলঙ্কিত ভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। তাছাড়া একটি দেশের কোন এক বা তারচেয়ে অধিক কোন গুষ্টি বা জনসংখ্যা কে মাইনাস করে ও কেউ বেশি দিন স্থায়ীত্ব অর্জন সম্ভব হয় নি।
আমরা যদি আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও তার পরবর্তী সরকার গুলো কে দেখি তাও এর ব্যতিক্রম নয় যে তারা বিশেষ কিছু মানুষের স্বার্থ রক্ষা ছাড়া বাকিদের অধিকার কে গলাটিপে হত্যা করার প্রয়াসের মধ্য দিয়ে এক সময় তারা ইতিহাসের আস্তাবলে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। কিন্তু এতদসত্তেও আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিই না।
প্রসঙ্গ সামপ্রতিক কিছু ঘটনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা শাসন কালের কিছু বিষয় :-
১/ আপনি ক্ষমতা থাকাকালীন সারা দেশে এত পরিমাণে চাঁদাবাজি ও কিশোর বাহিনী ছিল যা আপনি রোধ করেন নি।
২/ আপনার দলীয় লোকজন দেশকে দুর্নীতির আখড়া করে ফেলেছে কোন ব্যবস্থা নেননি।
৩/ শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্টের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছায় ফেলছেন।
৪/ বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসলেন
৫/স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রাইভেট ব্যবসা ও দালাল চক্রের হাতে পৌঁছে দিলেন।
৬/ প্রসাশন ও সর্ব স্থানে ভারতীয় লোকদের চাকরির ব্যবস্থা করা
৭/ ভিন্ন মতের লোকদের দেশদ্রোহী ও বি এন পি রাজাকার বলার মতো একটি পন্থা অবলম্বন করা।
৮/ ভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকদের হয়রানি ও জেল জুলুম করা।
৯/ সমকক্ষ রাজনৈতিক নেত্রী কে অসম্মান ও হয়রানি করা।
১০/ যে কোন অন্যয়কে বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া বিরোধী দলের উপর ড্রাইভার্ট করা।
১১/ দেশের একটি বড় পারসেন্ট জনগণকে উপেক্ষিত করে সোনার বাংলা করার স্বপ্ন দেখা।
(দেখুন এই সব ভুল পদক্ষেপের পর ও সারা দেশে দলীয় লোকজন সেটাপ প্রসাশন থেকে ধরে স্কুলের দপ্তরি পর্যন্ত।)
দেখুন এত এত খারাপ কাজ করলে ও স্বাধীনতা পরবর্তী শেখ হাসিনার চেয়ে বেশি উন্নয়ন এই দেশে আর কেউ করতে পারেন নি। উন্নয়নের ফিরিস্তি লিখলে পুরো একটা দিন লাগবে। দুর্ভাগ্যহলে ও সত্যি উপরের খারাপ কাজগুলো উনার সব অর্জনকে ঠুনকোর মতো উড়ে ফেলে দিয়েছে। আজ তাকে ইতিহাস সৈরশ্বাসক বলে সম্বোধন করছে।
কিন্তু আপনারা কি আবার তার মতো ভুলের পুনরাবৃত্তি করছেন। মনে রাখতে হবে
“সময় ও প্রকৃতির প্রতিষোধ সবচেয়ে কঠিন। “