মোঃ মামুন খান( বরিশাল প্রতিনিধি)
পটুয়াখালীর দুমকিতে কলেজ পড়–য়া মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় স্কুল শিক্ষক বাবা ও মেয়েকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মাসুম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত রবিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে বাবা ও মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসধীন আছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষক মো: শাহ ইয়ার গাজীর সরকারি জনতা কলেজ পড়ুয়া মেয়ে উম্মে হানী (১৭)কে কলেজে যাওয়ার পথে প্রায়শ:ই উত্ত্যক্ত করছে একই এলাকার এলেমদ্দীন হাওলাদারের নাতি মাসুম(২০)। মাসুমের বাবা মো: লিটন শ্বশুরবাড়ি থাকার সুবাদে একই এলাকায় তাদের বসবাস। প্রতিদিনের ন্যয় রবিবার দুপুরে উম্মে হানী প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে বখাটে যুবক মাসুম তার পথ আটকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং প্রস্তাবে রাজি না থাকলে জোড়পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করবেন। মাসুমের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় উম্মে হানিকে মারধর করে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এসয় উম্মে হানীর বাবা শাহ ইয়ার গাজী প্রতিবাদ করায় তাকেও মারধর করে এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। একই সাথে ঘটনাটি কারও কাছে বলাবলি করলে উম্মে হানীকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জড়িত বলে পুলিশী হয়রানি করবেন বলে হুমকি দিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুমকি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মাসুমের বাবা লিটন খান বলেন, ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা । উল্টো আমার ছেলেকে ওই মেয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আমার ছেলে তা প্রত্যাখ্যান করায় তাকে তারা মেরেছে।
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা দুমকি থানার এসআই মাসুদ মোবাইল ফোনে বলেন, মারামারির ঘটনা নিশ্চিৎ হওয়া গেছে। তবে ইভটিজিং বা শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে কিনা তা এখনও নিশ্চিৎ হওয়া যায়নি।
দুমকি থানা ওসি তদন্ত মো: সফিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি দেখতেছি এবং তদন্ত সপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।