নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ জসিম নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায়পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের বারাহীনগর গ্রামের পাইকের বাড়ির মৃত মোস্তফা সর্দারের ছেলে মো.লোকমান (৫৫) ও একই ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামের সর্দার বাড়ির শেখ আব্দুল আজিজের ছেলে আশরাফুল ইসলাম রাব্বি ওরফে শেখ রাব্বি (২৪।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সোনাইমুড়ী ও চাঁদপুর থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত মো. জসিম উদ্দিন (৩৫) উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাতঘরিয়া গ্রামের সর্দার বাড়ির মনু মিয়ার ছেলে। গত সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাতঘরিয়া গ্রামের সর্দার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ আসামি রাব্বির বরাত দিয়ে জানায়, দেড় মাস আগে আসামি সায়মনের একটি ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ মোটরসাইকেল ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ভিকটিম মৃত জসিম উদ্দিন নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে জসিম সায়মনের মোটরসাইকেল ও মোবাইল দিয়ে দেওয়ার শর্তে ত্রিশ হাজার টাকা নেয়। টাকা নেওয়ার পরেও মোটরসাইকেল ও মোবাইল না দিলে সায়মন গোপনে জসিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পুলিশ আরও জানায়, গত ১৪ জুলাই মামলার ১ নং আসামি সায়মন তার অজ্ঞাত দুই বন্ধুসহ একটি মোটরসাইকেল যোগে জসিমের বাড়িতে গিয়ে মোটরসাইকেল ও টাকা প্রদানের বিষয় নিয়ে তাকে হত্যার হুমকি ধামকি দিয়ে যায়। ঘটনার দিন ১৫ জুলাই দুপুর ৩টার দিকে ভিকটিম জসিম হঠাৎ তার নিজ বসতঘরে এলে সায়মনকে কল করে জসিমের বাড়িতে আসার সংবাদটি জানায় রাব্বি। এর কিছুক্ষণ পরেই সায়মন একটি মোটরসাইকেল যোগে আরো ২ জনকে নিয়ে জসিমের বাড়িতে যায়। এরমধ্যে সায়মনের বাবা গ্রেপ্তারকৃত আসামি লোকমান অন্য একটি মোটরসাইকেলে ভিকটিম জসিমের বাড়ির সামনে যায়। হঠাৎ বাড়ির ভেতরে গুলির শব্দ হয়। তারপর আসামি সায়মন তার অজ্ঞাত ২ বন্ধুসহ দৌঁড়ে এসে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
রাব্বি আরো জানায়, সে ২০ হাজার টাকার প্রলোভনে সায়মনের বড় ভাই দুলালের কথা মতো সায়মনকে ভিকটিম জসিম উদ্দিনের বাড়িতে আসার খবর জানায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, মামলা দায়েরের ১২ ঘন্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যা মামলার এজাহারামীয় ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে ১৬৪ ধারায় আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। অপর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।