today visitors: 5073432

মধুপুরে চায়না জাল দিয়ে চলছে দেশীয় মাছ নিধনের মহোৎসব

বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইল 

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে নিষিদ্ধ চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরার মহোৎসব। নদনদী, খালবিল ও ডোবা জলাশয়ে পানি উঠার সাথে সাথে ছেয়ে গেছে শতশত চায়না জালে।

চায়না জালকে একটা ফিক্সড ইঞ্জিন বলা হয়। এই জালে ছোট-বড় সব মাছই ধরা পড়ে। বিশেষ করে দেশীয় প্রজাতির মাছগুলো বেশি আটকে এই চায়না জালে। এটি জলজ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। চায়না জাল খাল-বিল, জলাশয়, ডোবা ও নদীতে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালবিলে সারিবাঁধা প্রতিটি চায়না জালে রেণু পোনা থেকে শুরু করে ছোট বড় সব ধরনের মাছই জালে আটকা পড়ছে।

স্থানীয়রা জানান, গত বছর সামান্য কিছু হলেও এলাকার বাজার গুলোতে দেশীয় মাছ দেখা যেতো কিন্তু এবছর বর্ষা শুরু হতে না হতেই সব মাছ চায়না জাল দিয়ে ধরা হচ্ছে। এ ভাবে ছোট বড় সব ধরনের মাছ ধরা হলে ভবিষ্যতে দেশীয় মাছের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবেনা বলেও তারা জানান।

বিশিষ্টজনের মতে, শুধু খাল-বিলের চায়না জাল ধংস করলেই হবেনা, আগে বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে তবেই এর ব্যবহার অনেকাংশেই কমে যাবে। 

গতবছর বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করার পরিপ্রেক্ষিতে চায়না জালের ব্যবহার অনেকাংশেই কমে গেলেও এ বছর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এখন পর্ষন্ত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে উপজেলার চারিদিকে চায়না জালে সয়লাব হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। বিশেষ করে কাকরাইদ হয়ে ধলঘাটে বংশাই নদীতে মিশে যাওয়া গুজাখালে শতশত চায়না জাল রয়েছে। একএকজনের ৪টি থেকে ৮টি পর্ষন্ত চায়না জাল রয়েছে। এছাড়াও থলথাট হতে টিকরী পর্ষন্ত বংশাই নদীর দুপারে প্রায় কয়েকশো জাল রয়েছে। বিশেষ করে গঙ্গাহরী গ্রামের তুলাচাপড়া বিল, আকাশী ভান্ডারগাতী রোডের মাঝখানের জলাশয়, কুড়ালিয়া গ্রামের গাবা চড়া, কুড়ালিয়া আটাপাড়া গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া খালে প্রচুর চায়না জাল রয়েছে। বিশিষ্টজনেরা বলছেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই চায়না জাল ধংস করতে না পারলে ভবিষ্যতে সব ধরনের দেশীয় মাছের বিলুপ্তি ঘটবে। 

মধুপুর টাঙ্গাইল

২৯-০৭-২০২৪