বিশেষ প্রতিনিধি : মোঃ মুজাহিদ খাঁন কাওছার
হল ছাড়ার নির্দেশ এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে নোটিশ দিয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানোর পরই তারা এমন নোটিশ দেন। তাদের সবার নোটিশের মূল কথা প্রায় একইরকম।
যেখানে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন, কন্ট্রোলার, অনুষদ ভবন এবং ভিসি ভবন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া আজ বিকেল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে ভিসিকে তার বাংলো এবং সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাদের কোয়ার্টার ত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।
তবে ওই নোটিশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে শাবিপ্রবিতে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে। আর জাবির শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনায় নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি কোটা আন্দোলনের জেরে জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা ‘হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত মানি না, মানব না; হল আমার বাসঘর, হল আমি ছাড়ব না; সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মানি না, মানব না; বাহ্ ভিসি চমৎকার, স্বৈরাচারের পাহারাদার; ভিসি কী করে, ক্যাম্পাসে রক্ত ঝরে’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরে হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ড. দিপীকা রাণী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যারা হলে থাকতে চায় তারা থাকতে পারবে। আর যারা চায় না তারা চলে যেতে পারবে। হলের গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ স্বাভাবিক থাকবে।