বিশেষ প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুলে দশম শ্রেণির দুই ছাত্রকে পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক ।
সোমবার(১৫ জুলাই) স্কুল চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে স্কুলের ভিতরে এক কক্ষে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসন করার নামে নিজ অফিসে ডেকে স্টিলের স্কেল দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হসপিটালাইজড করা হয়েছে।
জানা গেছে ওই প্রধান শিক্ষকের নাম আবদুর রাজ্জাক (৪০), তার বিরুদ্ধে এরকম ভুক্তভোগী অনেক অভিভাবকদের অভিযোগের অন্ত নেই। তিনি একজন লুচ্চা শিক্ষক এবং তার নামে তারই স্কুলের এক শিক্ষিকা ডিসির বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ছাত্রের অভিভাবক মা প্রতিকার পেতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বেপারে ফোন কলের মাধমে ভুক্তভোগী আতিকের ফোনে ফোন করলে তার মা ফোন ধরেন,তিনি বলেন আমার ছেলে বাহিরে গেছে আসলে বলবো।কিছু সময় পড়ে আতিক আসলে তাঁর সাথে কথা হয়।তিনি এ বেপারে কিছু না বলে আমাদেরকে বলেন আমার ভায়ের ফোন নাম্বার দেই আপনারা তার সাথে কথা বলেন।
এবেপারে আতিকের বড় ভায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমার ভাই এবং তার সহপাঠীর সাথে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেই রুমের পাসদিয়ে জাবার সময় ঘটনা দেখে রুমে ডেকে নিয়ে আমার ভাইকে স্টিলের স্কেল দিয়ে বেধর পেটায়।তার পরে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর সেন্টাল হাসপাতালে নিয়ে জান। সেখান থেকে বলেন এটা খানপুর হাসপাতালে নিয়ে জান পুলিশের ঝামেলা আছে আমরা পারবো না।
এক পর্যায়ে অনুসন্ধান করে যানা যায় ঐ শিক্ষক ভুক্তভোগী আতিকের বাসায় জান।তাদেরকে ভয়ভীতি দেখান।কারো কাছে বলতে মানা করেন,এ বেপারে কারো কাছে বল্লে তার ছেলেকে স্কুল পরিক্ষা বা ক্লাসের পরিক্ষা গুলোতে ফেল করাবে বলে হুমকি দিয়ে থাকেন।
এ বেপারে আরেক ভুক্তভোগী জাকারিয়াকে ফোন করলে তাঁর মা ধরেন।আমরা যখন সাংবাদিক পরিচয়ে তাঁর ছেলের বেপারে কথা বলতে চাইলাম সে আমাদের ফোন কেটে দেয়।তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন এই প্রধান শিক্ষক,তাঁরই বাসার পাসে সেই ছাত্রের বাসা।
আহতরা হলেন, ১/মো. আতিক(১৪),পিতা :-অঙ্গাত,২/মো.জাকারিয়া(১৫),পিতা:-অঙ্গাত।তাহারা দুজন একই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
জানা গেছে, সামান্য কারনে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া লাগলে এক সময় এ ঘটনা প্রধান শিক্ষক আ: রাজ্জাক জানতে পারলে তাদের কিছুই জিজ্ঞেস না করে দুজনকে তার নিজ রুমে ডেকে এনে এলোপাতাড়ি হাতে থাকা স্টিলের স্কেল দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। একপর্যায়ে তারা রক্তাক্ত জখম হয়ে অতিরিক্ত ব্লিডি হলে তাদের দুজনকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সেন্টাল হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য দ্রুত প্রেরন করে। পরবর্তীতে এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে সুকৌশলে তা সকলকে চেপে যেতে বলে এমনকি ছাত্র অভিভাবকদের বিষয়টি চেপে গিয়ে সুরাহা করার জন্য প্রেশার ক্রিয়েট করে।
এ ঘটনার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাকে ফোন করে সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বল্লে তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ঘটনা বানোয়াট,মিথ্যা এই বলে ফোন কেটে দেন।আবার ফোন করলে দেখা জায় তিনি আমাদের নাম্বারটি ব্লাকলিষ্ট করে রেখেছেন।এই বিষয়ে তাঁর কাছথেকে আর কিছু জানা জায়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগেও এরকম আরো অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে এ সেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষক। যেখানে পাঁচটার পরে স্কুল বন্ধ থাকার কথা, সেখানে সন্ধ্যা হলে এ শিক্ষক স্কুলের ভিতরে বন্ধু -বান্ধব নিয়ে আসর বসান। এ বিতর্কিত শিক্ষককে নিয়ে এর আগেও অনেক ঘটনার সূত্রে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা লেখি হয়েছে। অনভিজ্ঞ এ শিক্ষক কিভাবে একটা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হয়। যে কিনা কোনোদিনও শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন না। শিক্ষকতাই করেননি! সে কোন শক্তি বলপ সরাসরি রাতারাতি প্রধান শিক্ষক বনে গেলেন? স্কুলে যোগদানের পর থেকেই সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট গরে তুলেছেন, তাই কেউ তার বিরুদ্ধে মূখ খুললেই চাকরি হারানো হুমকি মূখে পরে যায়। এ ভয়ে কেউই মূখ খুলতে রাজি হয় না।
এ বেপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি এডিসি হামিদুর রহমানের সাথে ফোন কলে কথা হয়।তিনি বলেন এই বিষয়ে শিক্ষার্থীর কোনো অভিভাবক আমাদেরকে বলেনাই।সঠিক তথ্য প্রমান মিল্লে তাঁর বিরুদ্ধে আইনের বেবস্থা নেয়া হবে।