আবু আনছারী
কুড়িগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এতে আহত হয়েছেন তিনজন। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।
সোমবার দুপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারীরা ফিরে যাওয়ার সময় শহরের কলেজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
আহতরা হলেন- কুড়িগ্রাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক অনিরূদ্ধ প্রনয়, যুগ্ম আহ্বায়ক সাদিকুর রহমান এবং রতন অধিকারী। তারা বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আন্দোলনকারীরা জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের জিরো পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে তারা ২০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুনরায় কলেজ মোড় স্টেশন ক্লাবের সামনে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কর্মসূচি শেষ হবার মুহূর্তেই কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গাদ্দাফিসহ কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় আহত ছাত্র ইউনিয়ন কুড়িগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি অনিরূদ্ধ প্রণয় বলেন, “কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ সভা শেষ করে স্টেশন ক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সাংবাদিকরা চলে যাবার পরপর ছাত্রলীগের প্রায় ৪০ নেতাকর্মী আমাদের ওপর হামলা চালায়।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাদ্দাফি বলেন, “তাদের (আন্দোলনকারীদের) ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে যে ঘটনা ঘটেছে তার দায় অন্যায়ভাবে আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, “কুড়িগ্রাম একটি পিছিয়ে পড়া জেলা । এ জেলায় কোটা নিয়ে দুটি মত রয়েছে । একটি পক্ষ কোটার পক্ষে অন্যটি বিপক্ষে।
“সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ যারা কোটার বিপক্ষে তারাই আন্দোলনকারীদের নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে ছাত্রলীগ নামটি শুধু শুধু ট্যাগ দিয়ে জড়ানো হচ্ছে।”
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এ কে এম ওহিদুন্নবী বলেন, “হামলাকারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এ ঘটনা নিয়ে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিক নজরদারি করা হচ্ছে।”
সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি বলে জানান কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মো. মাসুদুর রহমান।