মোঃ আমিনুল ইসলাম
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
তাঁবুর আলো বন্ধ করে দিলেন ইমাম হুসাইন (আঃ)। আমার মাওলা হুসাইন বলেন, হে সাথীরা তোমরা চলে যাও তোমাদের মাতৃঘরে,আমরা আবদ্ধ! ফোরাতের তীর শত্রুর দখলে
ইমাম হুসাইন (আঃ)এর তাঁবুর সাথীরা বলল, মুসলিমরা তারাই যারা অন্যকে বিপদে ফেলে চলে যায় না।
তাই আমরা আপনকে ছেড়ে চলে যাব না।
হে আওলাদে রাসূল (সাঃ), হে বীরের ছেলে, বীর হুসাইন, আমরা প্রতিহত করব শত্রুদের; কাছে আমাদের জীবন বিলিয়ে দেব তবুও আপনাকে ছেড়ে যাবনা।
আপনার কাছেই থাকব এবং জীবনভর রাসূল পাক (সাঃ)এর দলে থেকে সবটুকু ভালোবাসা বিলিয়ে দেব রাসূলের পরিবারের জন্য।
আপনার সঙ্গে জান্নাতে যেতে প্রস্তুত।
রাত বেড়েই চলছে।
চাঁদ যেন রক্তের আলো বিলাচ্ছে চারপাশে।
মোনাজাতে কাঁদছেন মাওলা ইমাম হুসাইন (আঃ)।
একদল রুকুতে অন্যরা সিজদায় লুটিয়ে কাঁদছে।
শুক্রবার সকালে হুসাইনি তাঁবুতে খাবার নেই, পানিও নেই, পানির অভাবে অন্তর শুকিয়ে যাচ্ছে,
ছোট ছেলেমেয়েরা কাঁদছে পানির অভাবে হাহাকার চলছে তাঁবুতে।
পানির জন্য এত কষ্ট নবী পরিবারের,পানির অভাবে মাওলা হুসাইন (আঃ)এর ছয় মাসের শিশু আলী আজগরের কান্না বন্ধ হয়ে গেছে,কাঁদতে পারে না।
ওগো! আমার আলী আজগরকে একটু পানি পান করিয়ে আনো।
পানির অভাবে সে খুব কষ্ট পাচ্ছে,একটু পানি চাই। সন্তানকে বুকে নিয়ে ফোরাতের তীরে উপস্থিত মাওলা ইমাম হুসাইন আঃ।
বললেন, একটু পানি দাও? আমার জন্য নয়,
আমার ছয় মাসের আলী আজগরের জন্য।
হে ফোরাতের পানি দখলকারী! ভুলে যেও না তোমরা আমার নানার উম্মত,আমি তার নাতি হুসাইন।
আমি নবী পরিবারের সদস্য।
হঠাৎ তীর আসতে শুরু করল মাওলা হুসাইনের দিকে।
তীর আলী আজগরের বুকে বিদ্ধ হল।
মাওলা ইমাম হুসাইন (আঃ)এর কোল রক্তে ভিজে গেল আহ! ফিনকি দিয়ে তাজা রক্ত বের হচ্ছে।
কাতর কণ্ঠে আমার মাওলা হুসাইন বলেন, ওহে ওই এজিদ বাহিনী? কী দোষ করেছে আমার ছয় মাসের সন্তান? কেন তাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছো?
রণক্ষেত্র কারবালা শত্রুরা ভুলে গিয়েছে রাসূলের ভালোবাসাকে।
অন্তরে মায়া নেই হুসাইনিদের জন্য,মুনাফিক মুসলিম ঝাঁপিয়ে পড়ল সত্যের বিরুদ্ধে রক্তে লাল কারবালা। নেই এক ফোঁটা পানি।
রক্তপিপাশু জালিমের দল থেমে নেই।
চারদিকে রক্তের বন্যা চারদিকে লাশের মিছিল। আক্রমণ শুরু হল মাওলা হুসাইনের উপর।
তীর, বর্শা, তরবারির আঘাত বইছে হুসাইনের শরীর মোবারকে।
চেহারা মোবারকে রক্তের জমাট দাড়ি, ভিজে গেল রক্তে।
শরীর থেকে অঝোর ধারায় বইছে রক্তের ঝরনা।
আহ! কী করুণ