বরিশাল প্রতিনিধি
মোঃ মামুন খান
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের প্রবাসী শাহীন হাওলাদারের স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।গত১১ জুলাই মৃত শাহীন হাওলাদারের ভাই মনির হাওলাদার তার ভাইয়ের স্ত্রী খুশি বেগম, স্থানীয় পলাশ হাওলাদার সহ ৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।শনিবার ১৩ জুলাই সকাল ১১ টায় পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডের নিহত শাহীন হাওলাদারের বাড়ির সামনে সড়কের উপরে এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় মানববন্ধনে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জানায় প্রবাসী শাহীন হাওলাদারকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় বাকেরগঞ্জ থানায় তিন দিন আগে একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও অভিযোগটি পুলিশ আমলে নেয়নি বলে জানান তারা।মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল দেয়।মানববন্ধনে বক্তারা জানান, গত ৯ জুলাই সকালে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে হাবিব হাওলাদারের পুত্র শাহিনের নিজ বাড়ীর সামনের বাগানের একটি গাছ থেকে তার স্ত্রীর ওড়নায় প্যাচানো গাছের সাথে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ।বক্তারা আরো জানান, বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ভরপাশা গ্রামের মোঃ হাবিব হাওলাদারের পুত্র প্রবাসী শাহীন হাওলাদার জীবিকার তাগিদে বিদেশে ছিলেন। গত কিছুদিন পূর্বে তিনি বিদেশ থেকে নিজ বাড়িতে ফেরেন। প্রতিবেশী সত্তার হাওলাদারের পুত্র পলাশ হাওলাদার সহ দুষ্টচক্র তার স্ত্রীর খুশি বেগমের বিরুদ্ধে এনজিও কর্মী জাহিদের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ তুলেন।গত ৮ জুলাই তিন সম্তানের জননী শাহিনের স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী পলাশ হাওলাদারসহ দুষ্টু চক্রটি পরকীয়ার দোহাই দিয়ে এনজিও কর্মী জাহিদের সাথে জোরপূর্বক বিবাহ দেয়। চোখের সামনে নিজের স্ত্রীকে জোরপূর্বক অন্য যুবকের সাথে বিয়ে দেয়ার কারণে স্ত্রীর বিয়ের বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে তিনি প্রবাসী শাহীন হাওলাদার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় তার স্ত্রী খুশি বেগম ও পলাশ হাওলাদারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে লিখিত একটি অভিযোগ হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো: আফজাল হোসেন বলেন, প্রবাসী শাহীন হাওলাদার মৃত্যু ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তের শেষে আইন অনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।