স্মৃতির আকাশে বারবার উকি মারে
সেই সব ফেলে আসা দিন গুলো
কড়ই তলার দলবেঁধে গানের মেলায়
সংগীতের মূর্ছনায় হারিয়ে যাওয়া
কতই না উপভোগ করেছি মোরা
পংকজ উদাস,গোলাম আলী, গুরুদক্ষিণা
ফকিরের ছখিনা, হাওয়ায় উড়ে উড়ে
বাজনার তালে তালে হাওয়া হাওয়া গানগুলো শুনা!!
বনভোজনের প্রস্তুতিতে মাইকের উচ্চস্বরে গান বাজানো
আহা কি মধুর দিন গুলো!!!
ছোট্টএকটা ক্যান্টিন মোদের মধুর কেন্টিন সম।
ডাইনিং রুমের খাওয়া যেন অমৃত সুধার মত
বঙ্গের আলীগড়ের ক্যাম্পাসের কাপল বেঞ্চ গুলো
শুধুই কাঁদায়,
কোথাও নেই মোর পদচিহ্ন, নেই মোর বন্ধুদের আনাগোনা
বারেবারে মনে পড়ে আজ বুঝি,
ধুলোর স্তরে ঢেকে গেছে সেই বেঞ্চ গুলো
রূপসী করটিয়া চারি পাশে সবুজ ঘেরা
দিগন্তের ঐ রূপের ছটা,
গড়িয়াছ নিজ হাতে
আতিয়ার চাঁদ যেন দানবীর চাঁদ মিয়া।
রাতের আকাশে ছাত্রাবাসের ছাদে, চাঁদ দেখা অথবা
রাস্তায় দল বেঁধে এখন আর গান গাওয়া হয়না।
নির্ঘুম রাতে এখন আর বলা হয় না বন্ধু
চল বাকি রাতটা না হয় গল্প করে কাটিয়ে দেই
রাস্তায় মুহুমুহু স্লোগান, টিয়ার সেলের গন্ধ
ভেঙে দেবো স্বৈরাচারের দম্ভ
বন্ধুকে জড়িয়ে ধরি বিপ্লবী কন্ঠ!
রাখবো তরে হৃদয়ে
দেখা হবে বিজয়ে
ফেলে আসা সেই চল্লিশ বছরের স্মৃতি নিয়ে
আজো আমি চমকে উঠি,ডাকিছো বুঝি তুমি মোরে
চলনা মিছিলে যাই, স্বৈরাচারের পতন ঘটাই
বন্ধু ওগো
ছোটে চলেছি মোরা অবিরাম হয়তো
তুমি আছো পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে
আমি হেটে চলি গায়ের মেঠো পথে
যেথায় বন্যা,খরা,নদীভাঙনে বিধ্বস্ত জনপদ অবিরত!!!
শয়নে স্বপনে বারবার ফিরে যাই আমি
মোর প্রিয় ক্যাম্পাসে যেথায় স্মৃতির
বীজ বুনেছিলাম মোরা
আজি হতে চল্লিশ বছর আগে।।।।
জাবির আহম্মেদ জিহাদ