মোঃ মামুন খান বরিশাল প্রতিনিধি
বাংলাদেশের উপর গত ২৬ মে রবিবার ঘূর্ণিঝড় রিমেল আঘাত হানে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক জেলার মানুষ।
সেই আঘাতে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের অসংখ্য পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ঘূর্ণিঝড়ের দেড় মাস পার হলেও শত শত পরিবার এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ঝড়ের তীব্র বাতাস ও ঝড়ো জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ভেঙে অনেকের বাড়িঘর ভেসে গেছে। রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তুলাতলি, শ্রীমন্ত, কারখানা, তেঁতুলিয়া, বিষখালী, পায়রা, রাঙ্গাবালিয়া, খয়রাবাদ, ‘পান্ডব , রাঙ্গামাটি ও ধুলিয়ার এই ১১ টি নদী উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এসকল নদীর
বেড়িবাঁধের বাইরের অংশ, বেড়িবাঁধ, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এইসব এলাকায় ৩০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় এখনো ক্ষতিগ্রস্থরা খাবার ও আশ্রয়ের অভাবে চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকের বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় তারা এখন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
শত শত পরিবার এখন গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ সকল পরিবারের হাজার হাজার মানুষের মধ্যে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে। টেকসই বেড়িবাঁধ, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট নির্মাণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। প্রশাসনের উচ্চমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা যাতে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল পরবর্তীতে ১৪ টি ইউনিয়নে ৩ শতাধিক পরিবারের বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের তালিকা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।