মোঃ আমিনুল ইসলাম
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
দরবারি মুল্লা মৌলভী এবং মুফতিরা ইমাম হুসাইন (আঃ)’এর শোক পালন ও মাতমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য উঠে পড়ে লেগে আছে।কিছু জাল হাদীস সংগ্রহ করে সাধরণ মুসলমানকে ধোঁকা দিত চাচ্ছে।তাঁরা দাবি করেছে রসুল (সা) নাকি বলেছেন কারো মৃত্যুতে ক্রন্দন করা যাবেনা।তিন দিনের বেশি শোক পালন করা যাবে না ,তাহলে ১৪০০ ধরে কেনো হোসাইনিরা ইমাম হুসাইন(আঃ)’এর শোক ও মাতম পালন করে ! তাঁরা কেনো নিজের গায়ে আঘাত করে নিজের শরীরকে কষ্ট দেয় ! হোসাইনিরা কি জানেনা শরীর আল্লাহর নেয়ামত শরীরের যত্ন করা জরুরি তাহলে কেনো হোসাইনিরা নিজেদের বুক থাবড়ায় ! হোসাইনিরা যদি ইমাম হুসাইন (আঃ)’এর মৃত্যুতে এতোই মাতমের পাগল তাহলে হোসাইনিরা জানেনা শহীদ জিন্দা জিন্দাদের মাতম হয়না!
উপরোক্ত সকল ধরনের ফেতনা ফাসাদের জবাব আমাদের কাছে আছে,আমরা সাকিফার বন্ধ ঘর থেকে ইসলাম শিখিনি আমরা ১৪ মাসুম (আঃ)’এর আঙ্গিনা থেকে ইসলাম শিখেছি । মূল্লারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাল হাদীস পাঠ করে , রসুলুল্লাহ (সা)নাকি বলেছেন কারো শোকে ক্রন্দন করা যাবেনা।আহলেবাইত (আঃ)’এর সকল শত্রুদের উপর মহান আল্লাহর লানত (বেশুমার)।সর্বপ্রথম এই জাল হাদীস লেখক,এবং তার সমর্থনকারী সকলকেই লানত পাঠ করছি।কেনোনা রসুলের নামে জাল হাদীস তৈরি করা জুলুম ও শির্ক তাই তারা অভিশপ্ত ।হে মুসলিম জনতা এই হাদীসটি পরিপূর্ণ ভাবে কোরআন বিরোধী এবং তার দলিল কোরআন থেকে উল্লেখ্য করছি।
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছেঃ
وَقَالَ يَا أَسَفَى عَلَى يُوسُفَ وَابْيَضَّتْ عَيْنَاهُ مِنَ الْحُزْنِ فَهُوَ كَظِيمٌ
“এবং তাদের দিক থেকে তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেনঃ হায় আফসোস ইউসুফের জন্যে। এবং দুঃখে তাঁর চক্ষুদ্বয় সাদা হয়ে গেল। এবং অসহনীয় মনস্তাপে তিনি ছিলেন ক্লিষ্ট।”(সূরা : ইউসুফ-৮৪)
হযরত ইয়াকুব (আঃ) পুত্র ইউছুফ (আঃ) এর জন্য কি কাঁদেন নি ? দুঃখ চিন্তায় অস্থির হয়ে অর্থাৎ পাগলের মত হয়ে চিন্তায় কাপড় চোপড় ফাড়েন নি? হযরত ইয়াকুব (আঃ) প্রত্যেকদিন; একদিন নয়, দশদিন নয় বছরের পর বছর প্রত্যেকদিন ৪০ বৎসর পর্যন্ত মাতম করেছেন। কার মাতম করতেন? যিনি জীবিত আছেন বলে বিশ্বাস করতেন। সূরা ইউসুফ-এ বর্ণিত আছে যে,হযরত ইয়াকুব (আঃ) একহাত বুকে মারতেন এবং একহাত মাথায় মারতেন আর বলতেন يَا أَسَفَىٰ عَلَىٰ يُوسُفَ (“হায় আমার ইউসুফ/হায় আফসুস !”-সুরা ইউসুফ ১২:৮৪)। তিনি কেবলই বুক আর মাথায় হাত মারতেন না বরং وَابْيَضَّتْ عَيْنَاهُ مِنَ الْحُزْنِ فَهُوَ كَظِيمٌ (তিনি এতটাই মাতম করতেন যে, কাঁদতে কাঁদতে উনার চক্ষুদ্বয় দৃষ্টিহীন হয়ে পড়েছিল-সুরা ইউসুফ ১২:৮৪)। কার জন্য? তাঁর জীবিত (মৃত নয়) নিখোঁজ সন্তানের জন্য।ইয়াকুব (আ.) এত পরিমাণে মাতম করতেন যে, তার বর্ণনা কুরআনে সরাসরি না থাকলেও সেটা বোঝা যায় ইউসুফ (আ.) এর সেই সৎভাইদের মন্তব্যে। তাঁর সন্তানরা তাকে বলেছিলঃ-قَالُوا تَاللَّهِ تَفْتَأُ تَذْكُرُ يُوسُفَ حَتَّىٰ تَكُونَ حَرَضًا أَوْ تَكُونَ مِنَ الْهَالِكِينَ (“তারা বলতে লাগলঃ আল্লাহর কসম আপনিতো মরণাপন্ন হবার আগ পর্যন্ত ইউসুফের শোক থামাবেন না মনে হচ্ছে !”-সুরা ইউসুফ ১২:৮৫)। কাঁন্নার ফলে চক্ষুদ্বয় অন্ধ হয়ে যাওয়া এবং তাঁর সন্তানদের এমন মন্তব্যে সহজেই আঁচ করা যায় ইয়াকুব (আঃ) কোন পর্যায়ের মাতম করতেন।তারমানে ইয়াকুব (আ.) এতটাই শোকাহত ছিলেন যে, তাতে তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছিলেন, যা দেখে ঐ ছেলেরা মনে করেছিলো যে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইউসুফের শোক ভুলতে পারবেন না ইয়াকুব (আ.)!শোকাহত ইয়াকুব (আ.) পুত্র ইউসুফের জন্য শোক করেছেন এইভাবে: “হায় ইউসুফ !” -(সুরা ইউসুফ ১২:৮৪)।তাবারী বর্ণনা করেছেন, হযরত ইয়াকুব হতে হযরত ইউসুফের বিচ্ছিন্ন থাকার সময়কাল ছিল আশি বছর। এ আশি বছর হযরত ইয়াকুব হযরত ইউসুফের বিচ্ছেদে ক্রন্দন করেছেন।– (তারীখে তাবারী, ১ম খন্ড, পৃ. ৩৭)।
উনার অন্যান্য সন্তানরা উনাকে সান্তানা দেওয়ার পর কি তিনি বলেন নি যে, নিজের এই পুত্রে জন্য কেঁদে কেঁদে আমাকে কবরে যেতে হবে! জীবিত নিঁখোজ পুত্রের জন্য পিতা এতটাই শোক মাতম করেছিলেন যে তাঁর দুটি চোখ কাঁদতে কাঁদতে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায় । এবং এসমস্ত কাজের একটিকেও আল্লাহ তায়ালা মন্দ বলেননি, তিরস্কার করেননি, অগ্রহণযোগ্য বলেননি। ইয়াকুব (আ.) যদি “হায় ইউসুফ” বলতে পারেন, তবে আমরা কেন “হায় হোসেন” বলতে পারবো না!
পক্ষান্তরে,ইউসুফ নবীর জন্য তাঁর পিতা যখন শোক মাতম করতেন তখন তাঁর অন্যান্য সন্তানরা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য মন্তব্য করত।সেভাবে আজও কিছু মানুষ হোসাইন (আ:) এর শোকে মাতমকারীদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে থাকে।ইয়াকুব (আ.) যদি বছরের পর বছর পুত্র ইউসুফের জন্য শোক করেন, তবে আমরা কেন যুগযুগ ধরে হুসাইনের জন্য মাতম করতে পারবো না! হ্যাঁ, এটা খুবই স্বাভাবিক যে, ইউসুফ (আ.) এর হিংসুক সৎভাইদের কাছে এই শোক অর্থহীন। তাইতো তারা বলেছিলো যেঃ “আপনিতো ইউসুফকে মোটেও ভুলতে পারছেন না, ওর জন্য শোক করতে করতে নিজেকে শেষ করবেন নাকি?”আজকে যারা ইমাম হুসাইনের (আ.) জন্য শোক পালন করার বিরোধিতা করছে, তাদের কথার স্টাইলের সাথে মিল পান? যদি না পান, তাহলে সেই সৎভাইদের আরো দুয়েকটা বাক্য তুলে ধরি।তারা গিয়ে ইয়াকুব (আ.)-কে বলেছিলো, “ইউসুফকে আমাদের সাথে যেতে দিন, ও খেলা করবে, আমরাতো ওর শুভাকাঙ্ক্ষী!”
“আমরাও তো হযরত হুসাইন (রা.)-কে ভালোবাসি।” কিংবা– “আমরাও আহলে বাইতকে কম ভালোবাসি না” — মিল পান? মিল পান, এজিদপন্থী মুসলমানদের সাথে ? তবুও যদি মিল না পান, তাহলে সেই সৎভাইদের আরেকটু কথা শুনুনঃ“আমাদের তো কোনো দোষ নাই, সব দোষ ঐ বাঘের, ইউসুফ বেচারা বাঘের কবলে পড়েছিলো।” – বলেছিলো সৎভাইয়েরা।“এজিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর তো কোনো দোষ নাই, সব দোষ ইবনে যিয়াদের…।” মিল পান? মুসলিম উম্মার প্রতি সৎভাইয়ের মত আচরণ করছে কারা, চিনতে পারছেন? এবং সেই বাঘের কাহিনী ইয়াকুব (আ.)-কে বিশ্বাস করানোর জন্য তারা ইউসুফের জামায় কৃত্রিম রক্ত লাগিয়ে এনেছিলো।ঠিক যেভাবে এজিদী আলেমরা “উমাইয়্যা হাদীস কারখানা” থেকে বিভিন্ন ইতিহাস তৈরী করে এনেছে, বিভিন্ন হাদীস তৈরী করে এনেছে যে, “শোক করা হারাম”, ইত্যাদি। তারপর সেগুলির নাম দিয়েছে সহীহ কিতাব ! মিল পান?
এভাবে করে সূরা ইউসুফের প্রতিটা আয়াতে যেন ইউসুফ (আ.) এর সৎভাই নয়, যেন মুসলিম উম্মাহর সৎভাইদের মুখোশই উন্মোচন করা হয়েছে। শুধু একটু এজিদপন্থীদের কথার স্টাইলের সাথে মিলিয়ে দেখুন। তাদের কর্মের সাথে মিলিয়ে দেখুন। আল্লাহ তায়ালা কুরআনের বিনিময় হিসেবে যাদেরকে ভালোবাসা ফরজ করে দিয়েছেন, ইমাম হুসাইন (আ.) তাদের একজন (قل لا أسئلكم عليه أجرا إلا المودة في القربى –সূরা শুরা, ৪২:২৩)।যারা তাঁকে ভালো না বাসবে, তারা কুরআনের মূল্য পরিশোধ করেনি। অতএব, তাদের কুরআনভিত্তিক সব আমল – নামাজ, রোজা, ইত্যাদি কবুল হবে কিভাবে?
“আমরাও হুসাইন (রা.)-কে কম ভালোবাসি না” — তাদের মুখের এই কথা যে শুধুই লোক দেখানো, সেটা বোঝা যায় যখন তারা এজিদকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করে।ঠিক যেভাবে ঐ সৎভাইরা নিজেদেরকে নির্দোষ দাবী করছিল, আবার বলেছিল যে তারা ইউসুফের শুভাকাঙ্ক্ষী! হায় ইউসুফ! হায় হোসেন!
উপরোক্ত আয়াত (সূরা : ইউসুফ-৮৪) কেয়ামত পর্যন্ত মাতম এবং ক্রন্দনের পবিত্রতার সাক্ষী হয়ে থাকবে।কেননা ইয়াকুব নবী (আঃ)’ ভালো করেই জানতেন নবী ইউসুফ মারা যাননি তিনি জীবত।কিনতু ইউসুফ থেকে দূরে সরে যাওয়ার বেদনায় ইয়াকুব নবী ক্রন্দন করেছেন বছরের পর বছর পর্যন্ত।যারা আজ দাবি করছে ক্রন্দন হারাম আমি সেসব মূল্লাদেরকে জিগ্গেস করছি কারো শোকে ক্রন্দন করা যদি হারাম হয় তাহলে কি ইয়াকুব নবী (আঃ)’কি হারাম কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন?
যারা বলে শহীদ জিন্দা তাই জীবিতদের শোক পালন করা যায়না । আমি সেসব মূল্লাদেরকে প্রশ্ন করছি জবাব দিন’ইয়াকুব (আঃ) জীবিত ইউসুফের জন্য শোক পালন করতেন নাকি মৃত্যু ইউসুফের জন্য?
যারা বলে বেড়াচ্ছে শোক তিন দিনের জন্য এর বাইরে শোক পালন হারাম সেসব মুল্লার কাছে আমার প্রশ্ন হলো -ইয়াকুব নবী (আঃ) তাহলে কেনো বছর পর বছর ধরে ইউসুফ (আঃ)’এর শোকে ক্রন্দন করেছিলেন?
যারা দাবি করছে শরীর আল্লাহর আমানত, তাই কারোর শোকে কাতর হয়ে নিজের শরীরের ক্ষতি করা নাজায়েজ ‘ তাদের কাছে আমার প্রশ্ন :ইয়াকুব নবী (আঃ) তার সন্তান ইউসুফ (আঃ)’এমন ক্রন্দন করলেন তার চোখ দুটি সাদা হয়ে গিয়েছিলো ,এবং ইয়াকুব (আঃ) ইউসুফের শোকে দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলেন –তাহলে কি ইয়াকুব নবীও কি হারাম কাজ করলেন?
এখন কি বলবেন আমি জানি তাও বলে দিচ্ছি,এটাত ইয়াকুব নবীর শরীয়াত আমাদের নয়। ইয়াকুব (আ:) এর সময়ের শরিয়ত আমাদের শরিয়তের কাছে রহিত হয়ে গেছে।
অথচ পবিত্র কোরআন পাকে মহান আল্লাহ এরশাদ করছেনঃ-
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اٰمِنُوۡا بِاللّٰہِ وَرَسُوۡلِہٖ وَالۡکِتٰبِ الَّذِیۡ نَزَّلَ عَلٰی رَسُوۡلِہٖ وَالۡکِتٰبِ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ مِنۡ قَبۡلُ ؕ وَمَنۡ یَّکۡفُرۡ بِاللّٰہِ وَمَلٰٓئِکَتِہٖ وَکُتُبِہٖ وَرُسُلِہٖ وَالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلٰلًۢا بَعِیۡدًا
“হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে।” [ সুরা নিসা ৪:১৩৬ ]।
মাজাল্লাহ মুফতিরা কোরআনের বিরুদ্ধে ফতুয়া দিয়ে কি এটাই বুঝাতে চাচ্ছে- ইয়াকুব (অ)’ঘটনা হারাম কাজ করেছেন?আর মুফতি ১০০% সহীহ ফতুয়া দিচ্ছে?আসলে এমন নয় । পুরা বিশ্বের মুল্লা মুফতি একত্র হয়েও কোরআনের এক আয়াতের বরাবর হতে পারেনা । তাই কোরআনের আয়াতের সামনে শোক ও মাতম বিরোধী মুফতির ফতুয়া মূল্যহীন ও যুক্তিহীন ।
কেনোনা মহান আল্লাহ এরশাদ করছেন :
لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لِّأُوْلِي الأَلْبَابِ مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَى وَلَـكِن تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلَّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
"তাদের কাহিনীতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে প্রচুর শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং প্রত্যেক বস্তুর বিবরণ রহমত ও হেদায়েত।" (সূরা ইউসুফ : ১১১)
আল্লাহ তাআলার বাণী দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণ পায় ইয়াকুব নবীর শোক পালন ও মাতম বুদ্ধিমানদের জন্য শিক্ষণীয় এটা কোনো মন গড়া কথা নয় , বরং মুফতির ফতুয়া মনগড়া।কেনোনা যারা ঈমানদার তাঁরা পূর্ব কালামের সমর্থন করে । যদি ইয়াকুব (আঃ)’এক ইউসুফের জন্য ক্রন্দন করেন সেটাকে কোরআন সমর্থন করে। তাহলে দ্বীন বাঁচাতে নবী (সাঃ)’এর নাতি ইমাম হুসাইন (আঃ) পরিবার-পরিজন, সঙ্গী-সাথী কে নিয়ে শহীদ হলেন তাহলে তাদের শোক পালন ও মাতম হারাম হয়ে যাবে ! সূরা ইউসুফ এর ৮৪ নং আয়াত মোতাবেক নবী কিংবা তার সন্তানের শোকে ক্রন্দন করা, আহাযারী করা ও মাতম করা যায়েজ এবং এটা নবীদের সুন্নাত । যদি এটা বিদআত হতো তাহলে ইয়াকুবের মতো নিস্পাপ নবীর কর্মকে মহান আল্লাহ সমর্থন করতেন না।অথচ মহান আল্লাহ ইউসুফ নবীর জন্য ইয়াকুব নবীর মাতমকে সমর্থন করে সূরা ইউসুফের ১১১ নং আয়াতে ঘোষনা দিলেন যে,ইয়াকুব(আ)’ঘটনাতে রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্য প্রচুর শিক্ষনীয় বিষয়, এবং যারা বিশ্বাস রাখে সমস্ত তাদের জন্য হেদায়েত ।মূলত যারা হুসাইনী তাঁরা ইমাম হুসাইন (আঃ)’এর শোক ও মাতম করবে এবং যারা এজীদী তাঁরা শোক ও মাতমের বিরোধীতা করবে।
মূলত মাতম বিরোধী মানে কোরআন বিরোধী।