নবীনগরে বৈদ্যুতিক মিটারে আগুনে পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ইলেকট্রিশিয়ান মামুনের বিরুদ্ধে ।

ইলেকট্রিশিয়ান মামুনের বিরুদ্ধে ।আবু হাসান আপন নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি;

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে মিটার পুনস্থাপনের উদ্দেশ্যে বৈদ্যুতিক মিটার আগুনে পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যাকুট দক্ষিণ -পশ্চিম পাড়ায় কে বা কারা রাতের আধারে বিদ্যুতের মিটারে আগুন দিয়ে দিচ্ছে।এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল।

বৃহস্পতিবার (জুলাই ৭) রাতে থানায় লিখিত অভিযোগকারী কবির হোসেন মিয়ার বাড়ির মিটারে আগুন লাগানোর সময় উনার ভাবিসহ বাড়ির অন্যান্যরা দেখে ফেলে।তিনি হলেন বিল্ডিং এর ঠিকাদারি কাজ না পাওয়া প্রতিবেশী মামুন।

এই মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ হল উনি পাড়ার অনেকের মিটার পুড়িয়েছে পরবর্তীতে আবার ওনার মাধ্যমে মিটার আনানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী প্রবাসী বাদল মিয়ার স্ত্রী জানান,প্রায় এক বছর আগে আমার মিটার কেটে পানিতে ফেলে দিয়েছে। গত চার পাঁচ দিন আগে আগুন লাগিয়ে আবার আমার মিটার পুড়ে ফেলেছে।এখন যেহেতু মামুন মিয়াকে আগুন লাগাতে ওরা দেখেছে তাই আমরা ধারণা করছি আমাদের এগুলো মামুন মিয়াই পুড়িয়েছে।

সুমন মিয়ার স্ত্রী তৌহিদা বলেন, আমার মিটারটি তিন-চার মাস আগে কে বা কাহারা পুড়িয়ে ফেলেছিল। এখন যেহেতু মামুন মিয়া ধরা পড়ছে আমাদেরও ধারনা কাজটা মামুন মিয়াই করেছে। প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রোজিনা বেগম বলেন, আমার মিটার একবার ৩-৪ মাস আগে পুড়িয়েছে,তখন মামুনকে দিয়ে আমি নতুন মিটার এনেছি।

দুই মাস আগে আবার পুড়িয়েছে আমি মামুনকে দিয়ে আবার মিটার এনেছি।এখন যেহেতুক কবির মিয়ার বাড়িতে মামুন ধরা পড়েছে আমরা সবাই ধারণা করতেছি এই মিটার পোড়ানোর কাজগুলি মামুন মিয়াই করেছে।প্রত্যক্ষদর্শী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী বলেন,৬ মাস আগে আমার একবার মিটার পুরানো হয়েছিল তখন আমি দেখি নাই কে পুড়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে দেখলাম মামুন আমার মিটারে আগুন লাগাইতেছে আমি মামুন মামুন বলে ডাকার পরে মামুন দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়। তখন আমাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসে। আমি আমাদের এলাকায় এরকম আরো ঘটনা ঘটেছে সবগুলি কাজই আমরা মনে করি মামুন করেছে। আমি সরকারের কাছে মামুনের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।যাতে আমাদের এলাকায় এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

অভিযোগকারী কবিরের ভাই কামাল মিয়া জানান, রাতের আঁধারে আগুন লাগানোর সময় আমার পরিবারে সবাই মামুনকে দেখেছে। আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি আমরা মামুনের কঠিন শাস্তির দাবি জানাই।

এ বিষয়ে বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাশেম জানান, আমার এই পাড়ায় অনেকেরই মিটার পুড়িয়েছে কাউকে ধরতে পারি নাই বিধায় আমরা কিছু করতে পারি নাই। গত বৃহস্পতিবার রাতে কামাল মিয়ার ঘরের মিটারে আগুন লাগানোর সময় মামুনকে সবাই দেখে ফেলেছে তারা রাত ১টা সময় আমার বাড়িতে যাই এবং আমাকে অবগত করে।তারা যেহেতু আইনের আশ্রয় নিয়েছে আমি চাই মামুনের কঠিন সাজা হোক ভবিষ্যতে যাতে সে আর এরকম অপকর্ম করতে না পারে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মামুন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে ঘর তালা বদ্ধ পেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মামুন মিয়া জানান, যেই সময়ের কথা ওরা বলতেছে যে আমি নাকি মিটারে আগুন দিয়েছি ওই সময় আমি বাজারে নাস্তা করতে ছিলাম। নাস্তা করে আসার সময় আমাকে রাস্তায় পেয়ে কিছু পোলাপাইন আমাকে হামলা করে আহত করেছে এ বিষয়ে আমি অভিযোগ করেছি কিন্তু উনাকে অভিযোগের কপি হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে পাঠাইতে চাইলে উনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে নবীনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সজল কান্তি দাস জানান, তদন্ত হয়েছে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।