একটি মা তার সন্তানকে ছোটো বেলা থেকে আদর যত্নে বড় করে, যে ছেলে সব সময় মায়ের আঁচলের ছায়ায় বড় হয় সে ছেলে হঠাৎ বিয়ে করে পরিবর্তন হয়ে যায়। না পরিবর্তন টা বউ করেনা, পরিবর্তন করে দায়িত্ব। কিন্তু ১০০% এ ৯৫% শাশুড়ীরা ভাবে বউরা পর করে দিয়েছে তার ছেলেকে। কারণ ছেলে আর আগের মত ২৪ ঘন্টা মাকে সময় দিতে পারেনা। মাকে টাকা পয়সা খাবার সবকিছু দিলেও মা অসন্তুষ্ট তার কারণ মা চাই বিয়ের আগের সেই ছেলেকে যে ২৪ ঘন্টা তার কাছে থাকতো। যেহেতু ছেলের পরিবর্তন টা আসে বিয়ের পর তাই শাশুড়ীদের সব রাগ জেদ ক্ষোভ সবকিছু যায় বউ এর প্রতি। শাশুড়ীরা মুখে বলতে পারে সে আমার বউনা মেয়ে কিন্তু না ছেলের বউ কখনোই মেয়ে হয়না, নিজের মেয়ে ২৪ ঘন্টা কাজ না করে শুয়ে বসে খেলেও মা কিছু বলবেনা কিন্তু ছেলের বউ ১ বেলা কাজ না করে শুয়ে বসে থাকুক তখন দেখবেন সে শাশুড়ী নাকি মা! শাশুড়ীদের কাছে নিজের মেয়ের জামাই তাকে লক্ষ টাকা দিলে, তার নিজের মেয়েকে ভালোবাসলে, মেয়ে অসুস্থ হলে জামাই রান্না করে দিলে জামাই আমার হিরের টুকরা, আর নিজের ছেলে তার শাশুড়ীকে টাকা দিলে, বউকে ভালোবাসলে, বউ অসুস্থ হলে -এক বেলা রান্না করলে ছেলেকে বউ তা *বি *জ করছে, ছেলে বউয়ের গোলাম🥱
এবার আসি ছেলের বউদের কথায় একটি মেয়ে তার সব কিছু ছেড়ে একটি অপরিচিত বাড়িতে আসে কিন্তু বিয়ের দিন থেকেই বউ এর বাপের বাড়ি থেকে কে কতটুকু কি দিলো তা নিয়ে খোঁচা খুচি করা হয়, বউ একটু দেরীতে ঘুম থেকে উঠলে খোঁচা খুচি করা হয়, বউ তার হাজবেন্ডের সাথে একটু বাইরে গেলে খোঁচা খুচি করা হয় এক কথায় বউ ভালো হয় ২৪ ঘন্টা সেবা করলে,সংসারের কাজ করলে। বউ তো মে***শি** ন নয় আচ্ছা বউদেরই কেন সেবা করতে হবে? সেবার দায়িত্ব কার? তার নিজের সন্তানদের নাকি বউদের? বউরা বছরের পর বছর সহ্য করার পর যখন মুখ খোলে, কথার জবাব দেয় তখন বউদের শুনতে হয় ছেলেটাকি আকাশ থেকে পাইছো? আরো কতকি।
যেখানে পরের ঘরের মেয়েকে কখনো নিজের মেয়ে ভাবেনা কেউ, সেখানে পরের মেয়ে অপরিচিত সংসারে এসে সবাইকে আপন করে কিভাবে নেবে?? এখানে আসলে কেউই খারাপনা সবাই পরিস্থিতির স্বীকার, সবাই তার নিজ নিজ জাইগা থেকে সঠিক। না বউ খারাপ না শাশুড়ী ❤️