সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে জগন্নাথপুর পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ড় হবিবপুর কোনাপাড়ার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোস্তফা মিয়া এর বসত ঘরের দেয়াল ভাঙ্গার ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ ৮জুলাই সোমবার ভোর ৬টায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী প্রবাসী মোস্তফা মিয়ার মেয়ে শাহেনা বেগম জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগে উল্লেখ করেন সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার রায়কেলী গ্রামের বাসিন্দা ফিরুজ আলীর ছেলে সফু মিয়া কে বাদী করে বলেন, বর্ণীত বিবাদী এলাকায় লাঠিয়াল, পরধনলোভী, দাঙ্গাবাজ, কলহপ্রিয়, উগ্র সন্ত্রাসী খারাপ প্রকৃতির লোক। বিবাদী এলাকায় গায়ের জুরে চলাফেরা করে। এলাকার মুরব্বিয়ান সহ কাউকে তোয়াক্কা করে না। ফলে এলাকার লোকজন তাহার অন্যায় কার্যকলাপের প্রতিবাদ করিতে সাহস পায় না। বিবাদী একজন ভাড়াটিয়া গুন্ডা। বিবাদীর সাথে পূর্ব হইতে বিভিন্ন বিষয় নিয়া বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। যাহার কারনে বিবাদী আমার উপর ক্ষিপ্ত থাকিয়া ক্ষতি সাধনের অপচেষ্টায় লিপ্ত রহিয়াছে। ঘটনার দিন অর্থাৎ ০৮/০৭/২০২৪খ্রিঃ সকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় আমি আমার পরিবারের লোকজন নিয়া নিজ বাড়ীতে ছিলাম। ঐসময় বর্ণিত বিবাদী তাহার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন বিবাদীদের নিয়া হাতে হাতুরী, শাবল সহ বিভিন্ন অস্ত্রাদি নিয়া আমার বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমাকে উদ্দেশ্যে করিয়া গালিগালাজ করিতে থাকে। তখন আমি বিবাদীদেরকে বাধা নিষেধ করিলে বিবাদীগণ আমার উপর উত্তেজিত হইয়া আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি মারধর করিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। বর্নীত বিবাদী আমার চুলে ধরিয়া কাপড়-চোপড় টানা-হেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়। বর্ণিত বিবাদী আমাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলায় দুই হাত দিয়া চাপা দিয়া ধরিয়া শ্বাসরোদ্ধ করে। আমি ধস্তাধস্তি করিয়া প্রাণ রক্ষা করি। বিবাদীগণ আমাকে এলোপাতাড়ী মারপিট করিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। শোর-চিৎকারে বর্ণিত সাক্ষীগণ সহ আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাকে বিবাদীদের কবল হইতে উদ্ধার করেন। বিবাদীগণ আমার ঘরের পাকা বেড়া বসত ঘর হাতুরী শাবল দিয়া ভাংচুর করিয়া এবং ঘরে থাকা মালামাল তছনছ করিয়া অনুমান ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন হয়। বিবাদীগণ আমাকে এই বলিয়া হুমকী প্রদর্শন করে যে, উক্ত বিষয় নিয়া বাড়াবাড়ি বা মামলা-মোকদ্দমা দায়ের করিলে আমাকে সুযোগমত প্রাণে হত্যা করিয়া লাশ গুম করিবে। বিবাদীদের ভয়ে আমি সহ আমার পরিবারের সকলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি।
এ ব্যপারে জগন্নাথপুর পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল হোসাইন জানান,ভোরে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং এলাকাবাসীর দাওয়া খেয়ে হামলাকারী পালিয়ে যায় এবং তার মোবাইল জব্দ করা হয়।
এ ব্যপারে জগন্নাথপুর থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি মো: আমিনুল ইসলাম জানান, আমি অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।