রূপসা প্রতিনিধি
: ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বর থেকে শুরু করে স্থানীয় গ্রামবাসীদের কেউ চেনেন না জেলা ত্রান ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা বরাবর রূপসা প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক প্রবাহের রূপসা প্রতিনিধি মোঃ বেনজীর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী তালিমপুর গ্রামের কে এই বলরাম সেন। অথচ ভুয়া নাম স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি কুচক্রি মহল সাংবাদিক বেনজীর হোসেনকে সামাজিকভাবে হেয়োপ্রতিপন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ওই অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসক, খুলনা দুর্ণীতি দমন কমিশন, রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলী ও রূপসা প্রেসক্লাব বরাবর। তবে রূপসা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এর কোন অনুলিপি পাননি বলে জানা গেছে। এব্যাপারে এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সেইসাথে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রূপসা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
গত ২ জুলাই উপজেলার তালিমপুর গ্রামবাসীর পক্ষে বলরাম সেন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ করা হয় জেলা ত্রান ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা বরাবর। ওই অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সাংবাদিক বেনজীর হোসেনকে আওয়ামী লীগ নেতা উল্লেখ করে বলা হয়েছে তিনি সরকারের ত্রান মন্ত্রনালয়ের তিনবান টিন চা বিক্রেতা ভুপাতির নিকট বিক্রি করেছেন। অথচ রূপসা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরে বেনজীরের নামে কোন টিন বরাদ্ধ নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
তালিমপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, বেনজীর শুধু একজন সাংবাদিক না। সে একজন মানবিক মানুষ। এলাকার অসহায় মানুষের বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকেন। তাকে নিয়ে বলরাম সেন নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। এমনকি এই বলরাম নামে আমাদের গ্রামে কোন লোক নেই। বেনজীরের সামাজিক ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এই মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
একই গ্রামের সাহেব আলী বলেন, সাংবাদিক বেনজীরের বিরুদ্ধে কে এই বলরাম সেন আমরা তাকে চিনি না। এছাড়া ওই ভুয়া অভিযোগপত্রে চা বিক্রেতা ভুপাতির কাছে বেনজীর সরকারি টিন বিক্রি করেছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাও সঠিক নয়। ওই ভুপাতির সাথে সাংবাদিক বেনজীর হোসেনের জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় সে এই মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক বেনজীরের মত একজন ভালো মানুষের বিরুদ্ধে এই হীন চক্রান্ত কোনভাবে মেনে নেয়া যায়না।
এছাড়া তালিমপুর গ্রামের আমির আলী, আউয়াল, মৃত শংকর কুমার দে’র স্ত্রী রিনা রানী দে, রুস্তম, সনিয়া পারভেজ, সন্তোষ কুমারদেসহ স্থানীয় অনেকেই বলেন, সাংবাদিক বেনজীর হোসেন সাংবাদিকতার পাশাপাশি এলাকার অসহায় মানুষদের নানাভাবে সহযোগিতা করে। আমরা অবাক হয়েছি তার মত পরোপকারী একজন ভালো মানুষের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র কিভাবে হতে পারে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। গ্রামবাসী আরো বলেন, ভুপাতির সাথে সাংবাদিক বেনজীরের জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এমন জঘন্য মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। তাছাড়া আবেদনকারী বলরাম সেন নামে এই গ্রামে কোন লোক নেই। বেনজীরের বিরুদ্ধে যা কিছু হয়েছে সব সাজানো নাটক।
নৈহাটী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমি এই ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধিত্ব করে আসছি। অথচ সাংবাদিক বেনজীরের বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগকারী বলরাম সেনকে আমি চিনিনা। এটা একটা ফেক নাম। ত্রাণের টিন বিক্রির বিষয় তিনি বলেন, বেনজীর হোসেন সাংবাদিকতার পাশাপাশি রাজনীতির সাথে জড়িত। মানুষের উপকার করা ছাড়া কারো ক্ষতি বা অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জনের কোন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে নেই। আর টিন বিক্রির যে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও কাল্পনিক। আমার ওয়ার্ডে এধরণের কোন ঘটনা আদৌ ঘটেনি।
নৈহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন বুলবুল বলেন, সাংবাদিক বেনজীরের ভালো কাজে ইশর্^ান্বিত হয়ে কে বা কারা এহেন মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তালিমপুর গ্রামে ত্রানের টিন বিক্রি বা উদ্ধারের কোন ঘটনাই ঘটেনি। এমনকি অভিযোগকারী বলরাম সেন নামের ব্যক্তি কে? তাকে আমি চিনিনা।
রূপসা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, সাংবাদিক বেনজীরের নামে তো আমাদের দপ্তর থেকে কোন টিন কোনদিন বরাদ্দ হয়নি। তাহলে সে টিন বিক্রি করে কিভাবে?
###