today visitors: 5073432

কুমিল্লায় যুবকের হামলায় ইমাম গুরুতর আহত;ঢামেক হসপিটালে চিকিৎসাধীন

 

জি কে রাকিব, কুমিল্লা :

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মসজিদে ঢুকে হামলা চালিয়ে ইমামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে রিয়াজুল হক সজিব নামের এক যুবক। আহত ইমামের নাম হাফেজ মাওলানা বদরুল হাসান শিকদার। ঘটনাটি ঘটেছে আলকরা ইউনিয়নের সাতচর উত্তর পাড়া জামে মসজিদে ২জুন,মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের সময়। ঘটনায় জড়িত সজিবকে আটক শেষে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ইমামের স্ত্রীর দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রায় সময় নামাজের আযান দিলে সাতচর গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে সাজেদুল ইসলাম সজিব স্থানীয় মসজিদে প্রবেশ করে ফ্যান চালিয়ে বসে থাকতো। এ নিয়ে মঙ্গলবার মাগরিবের সময় মসজিদের ইমাম হাফেজ বদরুল হাসান সজিবকে অহেতুক ফ্যান চালাতে নিষেধ করায় বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে মাগরিবের ইমামতি শেষে হাফেজ বদরুল হাসান মোনাজাতরত অবস্থায় সাজেদুল ইসলাম সজিব দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ইমামের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সজিবের এলোপাতাড়ি আঘাতে ইমাম হাফেজ বদরুল হাসান মারাত্মকভাবে আহত হন। তাৎক্ষণিক উপস্থিত মুসল্লিরা সজিবকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয়রা হাফেজ বদরুল হাসানকে উদ্ধার শেষে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, আহত ইমাম এখন ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন । বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত ইমাম ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানার হাশেমদিয়া গ্রামের সামছুল হকের ছেলে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহ আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘আমি শুনেছি-মসজিদের ইমামের উপর অতর্কিত হামলা হয়েছে। এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। হামলকারীকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি’।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাজেদুল ইসলাম সজিবকে আটক শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে’।এদিকে সানে সাহাবা খতিব কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশক্রমে সংগঠনটির সদস্যগণ ঘটনাস্থলে যায় খোঁজ খবর নিতে, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাদের সাথে যোগাযোগের নাম্বার দিতে অস্বীকার করেন। পাশাপাশি কেউ কেউ ছেলেটি পাগল বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন । খবর নিয়ে জানা গেছে ছেলেটি প্রবাস ফেরত।আহত ইমামের বড় ভাই এবং অনেকেই বলছেন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পাগল আখ্যায়িত করছেন। তারা এর সুষ্ঠ বিচার ও সমাধান চেয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেন।