মাসুদ রানা, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
ফুলছড়িতে কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফুলছড়ির নিম্নাঞ্চল ইতি মধ্যে প্লাবিত হয়েছে। এতে ফুলছড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজে বন্যার পানি ধুকে পরেছে। এতে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিপাকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করছে। এ অবস্থায় ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দেখা যায় পুরো মেঝে পানিতে তলিয়ে গেছে। উক্ত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিঘ্ন ঘটে। মেঝে ডুবে যাওয়ায় ১০ মিনিট আগেই শিক্ষকরা খাতা জমা নেয়।
পানিতে তলিয়ে আছে সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঘরবাড়ি, সড়ক ও পরীক্ষা কেন্দ্র তালিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রয়েছেন উৎকণ্ঠায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
আগামী রবিবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা রয়েছে এখন পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা বোর্ড থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
এইচএসসি (মানবিক)পরীক্ষার্থী মো. আশিফ শেখ জানান, গত কয়েকদিনে বর্ষায় বাসায়ও পানি। তাই লেখাপড়াও করতে পারি নি। পরীক্ষায় কেন্দ্রেও পানিতে ডুবে গেছে। এমন একটা সময় পার করছি না পারছি পরীক্ষা দিতে না পারছি বাসার কোনো কাজে সাহায্য করতে। আমাদের জন্য খুবই কষ্ট হচ্ছে। পরীক্ষা কয়েকদিন পিছিয়ে দিলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।
এইচএসসি পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম পানিবন্দি অবস্থায় আছে পড়াশোনা করার মতো ঘরে কোনো পরিবেশ নেই। তার অভিভাবক এই বিষয়ে খুবই চিন্তিত। শুধু আরিফুল নয় একই চিত্র উপজেলার বেশ কিছু বাড়িতে।
ফুলছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হামিদ কলিম বলেন, আমরা খুবই চিন্তিত, ইতোমধ্যে বন্যার বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা বন্ধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। এছাড়াও সকালে পরীক্ষা নিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবারই খুবই কষ্ট হয়েছে।
মোঃ মাসুদ রানা
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
০১৪০২৪৪০২২৮