today visitors: 5073432

বুড়িগঙ্গায় নতুন পানিতেও দেখা মিলছে সাকার ফিস

আবু তালহা তারীফ, কেরানীগঞ্জ

বুড়িগঙ্গা নদীতে বর্ষার এই নতুন পানিতে পাওয়া যাচ্ছে সাকার ফিস। যা ইতিপূর্বে বর্ষার মৌসুমে তেমন দেখা মিলেনি। আমরা সাকার ফিস বা সাকার মাউথ যে নাম বলিনা কেন না এই মাছ এক ধরনের শোভাবর্ধনকারী অ্যাকুরিয়ামের মাছ৷ পুরো নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিস৷ গতকাল জুলাই মাসের প্ড়তম দিনেই বৃষ্টিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দুপুরে সরেজমিনে পানির মধ্যে । ৭-১০ ইঞ্চি সাইজেত শত সাকার মাছের দেখা পাওয়া যায়। বুড়িগঙ্গা নদীর পাশে চা দোকানি আশ্রাফ মিয়া বলেন, আমরা বর্ষার এই মৌসুমে এই মাছ তেমন দেখতাম না। এ বছরই বর্ষায় এই মাছ দেখা মিলছে। প্রথমদিকে মাছটি কেউ কেউ বিক্রির উদ্দেশ্যে ধরলেও খাওয়ার উপযোগী না হওয়ায় এখন আর কেউ ধরছে না। আলমান মিয়া নামের নৌকার মাঝি বলেন, একসময় নদীতে প্রচুর পরিমানে হরেক রকমের মাছ পাওয়া যেত সাকারের কারনে এখন তেমন মাছ পাওয়া যায় না।

সাকারের পিঠে কাটা থাকায় আমরা একসময় নদীতে গোসল করলেও এই মাছের ভয়ে এখন অনেকেই কেউ নদীতে গোসল করা থেকে বিরত রয়েছে।

এবাদুল নামের এক ব্যাবসায়ী জানান, বুড়িগঙ্গা নদীতে বর্ষায় তেমন মাছ দেখা না মিললেও বর্তমানে সাকার মাছের দেখা মিলছে। । কেরানীগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা জানান, দূষিত পানিতে এই মাছের অবস্থান। বুড়িগঙ্গা নদী এত পরিমানে দূষিত হয়েছে যে এই মাছ থাকতে পারছেনা।
গত ৪ বছরে বর্ষাকালে নদীতে সাকার তেমন দেখা যায় নি। তবে এবছর শুষ্ক মৌসুমে বুড়িগঙ্গা প্রায় সাকার শূন্য ছিলো। পানি বাড়ার সাথে সাথে সাকারেরও পরিমাণ বাড়ছে। আমরা বুড়িগঙ্গা নদীতে বিভিন্ন জাল ফেলেছিলাম। এই মাছ খাওয়া যাবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সিনিয়র এই মৎস্য কর্মকর্তা সকালের সময়কে বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর পানি অতিরিক্ত দূষিত হওয়ায় এবং পানিতে ভারী ধাতু বিদ্যমান থাকায় এ মাছ না খাওয়াই ভালো।ী