মাসুম বিল্লাহ ,বরগুনা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের কেন থামছে না মৃত্যুর মিছিল ? গত ১০ দিনে বরগুনার আমতলীতে সড়ক দুঘটনায় নিহত ১২,আহত অন্তত ৪২ জন। এর জন্য দায়ী কারা ? সড়কে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব যাদের, তাদের অযোগ্যতা ও দুর্বল পরিকল্পনার খেসারত দিতে হচ্ছে মানুষকে প্রাণ দিয়ে।
গত (৩০ জুন) ভোরের ঘটনা,খুবই মর্মান্তিক। ছেলের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মায়ের। কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গন্ডামারি গ্রামের আলম হাওলাদার (৪৫) দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিলেন। শনিবার রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ছেলে আলম হাওলাদারের মরদেহসহ মা পুষ্প বেগম রোববার সকালে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রওনা দেন বাড়ির উদ্দেশে। কিন্তু পটুয়াখালী কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের ডাক্তার বাড়ি এলাকায় পৌঁছালে, বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মা পুষ্প বেগম ও মোটরসাইকেল চালক রুবেল সিকদার এবং আহত হয়েছেন ৩ জন।
শুক্রবার (২৮ জুন) পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে এতে ঘটনাস্থলে আঞ্চলিক মহাসড়কের মহিষকাটা বাজার সংলগ্ন মোটরসাইকেল ও ঢাকা থেকে আসা হিমাচল পরিবহনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ ব্যবসায়ী নিহত হন আহত ৪ জন। একই দিনে আমতলী ঘটখালীতে বাস ও ট্রাক সংঘর্ষে আহত ৫ জন। এছাড়া ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের দুর্ঘটনায় আরো ২৭ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) বৌভাতে যাওয়ার পথে হলদিয়াহাট ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পরে নারী ও শিশুসহ নিহত ৯ জন আহত হন ৮ জন।
এ বিষয় আমরা আমতলীবাসী সংগঠনের সভাপতি ও সাংবাদিক মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, নিহতের ঘটনা চালকদের অসচেতনতা ও আঞ্চলিক মহাসড়কের সড়ক অব্যবস্থাপনা এর প্রধান কারন। আমতলী আঞ্চলিক মহাসড়কে চার লেন রাস্তা জরুরি প্রয়োজন নতুবা এ দূর্ঘটনা ঠেকানো অসম্ভব।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি,আইনিপ্রক্রিয়া যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন,চালকদের চোখে পরে এমন রোড সাইন,রোড পোস্ট,মার্কিন করা জরুরি প্রয়োজন। আমতলীতে জরুরি ভাবে হাইওয়ে পুলিশ প্রয়োজন। হাইওয়ে পুলিশ থাকলে দূর্ঘটনা অনেকটা কমে যাবে।
এলাকাবাসী অবিলম্বে পটুয়াখালী কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪ লেনও হাইওয়ে পুলিশ দেয়ার দাবী জানিয়েছেন। নতুবা এ মৃত্যুর মিছিল থামবেনা। এ মিছিল আরো দীর্ঘ হবে।