বলে না আমি নিজে দেখেনি। তবে আমার এক বন্ধুকে একবার পিশাচ ধরেছিল। শিশির জানতে চায় সেই ঘটনা। দাদা বলে একদিন আমার এক বন্ধু ছোটন স্কুল ছুটি হলে বাড়ি ফিরছিল। তখনকার সময়ে আমরা প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ঐ দিন সে একাই খোলা মাঠ দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। তার আশেপাশে তখন কেউই ছিল। সেই ছোটন সবসময়ই বড়াই করে চলতো। সবার সাথে বলে বেড়াতো তার নাকি অনেক শক্তি। সে সবার সাথে শক্তিতে জিতে যায়। ছোটন মাঠের একেবারে মাঝ বরাবার চলে এসেছে। আকাশের সূর্যটা তীর্যকভাবে আলো ছড়াচ্ছে। ছোটন প্রচন্ড গরমে ঘেমে গিয়েছে। সে তারাতারি বাড়ির পথে এগোচ্ছে। হঠাৎই তার ঠিক পাশের একটা ধানক্ষেত থেকে তার দিকে একটা ঢিল ছুড়ে আসে। ঢিলটা ঠিক তার গায়ে এসে লাগে। সাথে সাথে ছোটন থেমে যায়। এই কে রে?কে এখানে? সাহস থাকলে আমার সামনে আয়। সেখানে কাওকে না পেয়ে ছোটন আবারো বাড়ির পথে হাটতে থাকে। ফের তার শরীরে একটা ঢিল এসে লাগে। এবার ছোটন রেগে চিল্লাতে থাকে। এই কে আছিস এখানে একবার শুধু সামনে আয়। তখনি হাসতে হাসতে একটা অচেনা মেয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। ছোটন মেয়েটির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে এই তুমি কে? আর এখানে কি করো? আমাকে এখানে বিরক্ত করছো কেন? ছোট মেয়েটি বলে শুনেছি তুমি নাকি খুবই শক্তিশালী। আমার সাথে পাঞ্জা লড়বে? ছোটন বলে নাহ্ আমি সবসময়ই ছেলেদের সাথে পাঞ্জা লড়ে থাকি। আর তুমি তো একটা মেয়ে। তোমার সাথে লড়ার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই। _____প্রিয় পাঠক/পাঠিকা বলছিলাম এতোক্ষন “পিশাচ” গল্পটির কথা। ভয়ঙ্কর এই গল্পটি আসবে আজ রাত ঠিক নয়টায়। নিয়মিত গল্প পড়তে ভৌতিক গল্পকে ফলো করে সাথেই থাকুন।