today visitors: 5073432

শীতলক্ষ্যা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুলের আসামি বানিজ্য…

সদ্য ফতুল্লা থানা থেকে বদলি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা এলাকার শীতলক্ষ্যা ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেব দ্বায়িত্ব নেওয়া পুলিশ সদস্য এসআই সাইফুল বেপরোয়া আসামি বানিজ্য।

এসআই সাইফুল ফতুল্লা থানায় কর্মরত ছিলেন বেশ অনেক দিন ।ফতুল্লায় চাকরি করা অবস্থায় নানা সময়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডের কারণে সমালোচিত হয়েছিল সে সময় ।

সকল সমালোচনার মধ্যে আলোচিত সিদ্দীরগঞ্জ থানার এসআই কামরুজ্জামান কে নিয়ে এসআই সাইফুলের যে আলোচনার গুঞ্জন হয় নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সকল গণমাধ্যম গুলোতে।

এবার নতুন করে নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্যা ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই শুরু করেছে তার নতুন কৌশলে অর্থ আদায় করার অভিনব যাত্রা।

এই অর্থ আদায় যাত্রা শুরু করেন ৫-৬-২০২৪ইং আনুমানিক সময় দুপুর ৩ টার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার জিমখানা এলাকায় শীতলক্ষ্যা ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুলের নেতৃত্বাধীন একটি টিম একটি অভিযান করে উক্ত এলাকার বাদশা নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক করেন ঠিক তার পর পরই পাইকপাড়া পুল এলাকার বুতেরগল্লীর বিতরে চিহ্নিত মাদক কারবারি ফিরোজ নামের অন্য আরেক মাদক কারবারি কেও মাদক সহ হাতেনাতে আটক করে।আটক হওয়া দুই মাদক কারবারি কে সাথে সাথে নিয়ে চলেযায় শীতলক্ষ্যা ফাঁড়িতে এবং আটক হওয়া দুই জনকে যার যার পরিবারের সাথে কথা বলে অর্থ নিয়ে আসার কথা বলেন এসআই সাইফুলের নির্দেশে একজন কনস্টেবল ।তাদের কথা মত আটক হওয়া দুই মাদক ব্যবসায়ি তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ফাঁড়ির সামনে টাকা নিয়ে যান ।সে সময় একের পর এক দেন ধরবার করতে করতে রাত ৯টার কিছু সময় পর দুই জন আটক হওয়া মাদক কারবারির মধ্যে ফিরোজ নামের মাদক কারবারি ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ের নিজেকে সুরক্ষিত করতে পারলেও বাদশা নামের অন্য আরেক মাদক কারবারি এসআই সাইফুলের চাহিদা পূরণ করতে না পেরে তাকে হেরোইনের মামলা নিয়ে জেলে যেতে হয় ।এই বিষয়ে প্রতিবেদক কে নিশ্চিত করেন জিমখানা থেকে আটক করা মাদক ব্যবসায়ি বাদশার স্ত্রী । ক্ষোপ প্রকাশ করে বলেন যে আমার স্বামী বাদশার কাছে দশ পাতা হেরোইন পায় যা তিনি নিজে খাওয়ার জন্য কিনেছিলেন কিন্তূ আমার স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিলো এসআই সাইফুলের নির্দেশে সফিকুল নামের একজন পুলিশের কনস্টেবল আর এই ৫০হাজারের মধ্যে ৩০ হাজার টাকা আমরা খুব কষ্টে জোগাড় করে অনেক কাকুতি মিনতি করি কিন্তূ কোন ভাবেই আমার স্বামী কে তারা ছাড়ে নাই কিন্তূ পাইকপাড়া নাপাপাড়া এলাকার মাদক সম্রাট শাকিলের ঘনিষ্ঠ সহযোগি ফিরোজ কে ঠিকই ছেড়ে দেন এসআই সাইফুল মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে।
এটা কেমন বিচার হলো একজন পুলিশের চাহিদা মতো টাকা দিতে পেরেছে বলে তাকে ছেড়ে দিলো ও অন্যজন পুলিশের চাহিদা মতো টাকা জোগান করতে সক্ষম হয়নি বলে তাকে মামলা দিয়ে চালান করেন এসআই সাইফুল ও শীতলক্ষ্যা ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য।

তার এই যাত্রার সঙ্গে কাজ করছে শীতলক্ষ্যা ফাঁড়ির অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আশপাশের এক দোকান মালিক নাম প্রকাশ করাতে অনিচ্ছুক হয়ে প্রতিবেদক কে জানায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পাশে কিন্ডার কেয়ার স্কুলের সাথে আলাউদ্দিন খান স্টেডিয়ামের প্রধান গেটের সামনে প্রতিদিন সন্ধ্যা নামতেই এসে হাজির হন কিছু পুলিশ সদস্য যাদের কারো শরীরে পুলিশ বাহিনির কোন পোশাক থাকে না । সন্ধ্যার পর কিন্ডার কেয়ার স্কুলের সামনে দিয়ে যাতায়াত করা নানা পেশার মানুষকে তল্লাশী করার কথা বলে কৌশলে আলাউদ্দিন খান স্টেডিয়ামের অন্ধকার যায়গায় নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের হয়রানি করে থাকেন শীতলক্ষ্যা ফাঁড়ির সে সকল পুলিশ সদস্যরা ।এই শীতলক্ষ্যা ফাঁড়ির ইনচার্জ সহ সকল সদস্যদের হয়রানি থেকে মুক্তি ও টাকার বিনিময়ে সমাজের বড় পর্যায়ের মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে থাকে। এমনকি মাদক ব্যবসায়ীদের কথা মতো এলাকার নিরীহ মানুষদের হয়রানি করে ধমন করার চেষ্টাও করে থাকেন শীতলক্ষ্যা ফাঁড়ির সদস্যেরা । এই ধরনের অপরাধ মুলক কর্মকান্ড রাস্তার পথচারীদের তল্লাশী করার নামে হয়রানি ও আসামিদের নিয়ে বানিজ্য বন্ধ করার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন অতি জরুরী হয়ে পরেছে সাধারন মানুষের এমন হয়রানির কবল থেকে রক্ষা করার জন্য।