সত্যিকারের সুখের দেখা চাও যদি ভাই পেতে
রঙের জীবন ছেড়ে তোমায় আসতে হবে পথে।
ঐ যে দেখ সবুজ ধানের ক্ষেতের ভেতর দিয়ে
এঁকে বেঁকে ছোট্ট একটা নদী গেছে বয়ে।
তীর দিয়ে তার হেঁটে হেঁটে গভীর মাঠে যাও
মধ্য মাঠে দাঁড়িয়ে এবার চতুর্দিকে চাও।
দেখবে তুমি তুমি ছাড়া নেই কো সেথা কেউ
ধমকা হাওয়ায় ধানের ক্ষেতে উঠছে শুধু ঢেউ।
দু চোখ বুজে হাওয়ায় এবার মেলে ধরে বুক
এবার বল পাইছ কি না সত্যি কারের সুখ।
ওই যে দেখ বৃদ্ধ চাচা পাকা পথের মোড়ে
রিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কাঠফাটা রুদ্দুরে।
যাও গিয়ে ওই বৃদ্ধ চাচার রিকশায় উঠে যাও
তারে নিয়ে যাও তুমি আজ যেথায় যেতে চাও।
যাত্রা শেষে দেখ এবার রিকশা থেকে নেমে
বৃদ্ধ চাচার ক্লান্ত শরীর কেমনে গেছে ঘেমে।
ক্লান্ত হয়ে কাঁপছে দেখ রিক্সা চালক কাকা
ভাড়া ছাড়াও দাও তাহারে বাড়তি কিছু টাকা।
লক্ষ করে দেখ চাচার কাঁপন গেছে থেমে
বক্ষে চেপে ধরছে তোমায় রিকশা থেকে নেমে।
যেই মুখে তার জড়িয়ে ছিল ক্লান্তি রাশি রাশি
সে মুখ ভরে উঠছে ফুটে মিষ্টি মধুর হাসি।
পরান ভরে দেখ এবার চাচার হাসি মুখ
এবার বল পাইছ কি না সেবার মহাসুখ!
তোমার ছেলে কাঁদছে দেখো চোখ ভরা তার জলে
বলল এসে মারছে তারে নিমাই জেলের ছেলে।
তোমার কত ধন ক্ষমতা নিমাই তাহা জানে
তাইতো নিমাই ভয়ের চোটে কাঁপছে ঘরের কোণে।
ভাবছে নিমাই তুমি তারে সামনে কভু পেলে
পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলিবে নয়তো দেবে জেলে।
এবার তুমি ওই নিমাইয়ের বাড়িতে যাও চলে
দেখবে নিমাই তোমার ভয়ে ভাসছে চোখের জলে।
তোমায় দেখে নিমাই ভয়ে হইবে এমন কাবু
পা জড়িয়ে বলবে তোমার মাফ করে দাও বাবু।
বুকের মাঝে জড়িয়ে তারে বল আরে ভাই
পোলাপানের ঝগড়া নিয়ে ভয়ের কিছু নাই।
ওই যে দেখ উঠছে হেসে নিমাই বাবুর মুখ
শীতল হয়ে আসছে তাহার ভয়কাতরে বুক।
নিমাইয়ের ওই শীতল বুকে মিলিয়ে তোমার বুক
এবার বল পাইছ কি না ক্ষমার মহাসুখ।
সুখের ঠিকানা