পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তার সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (মে ২৩, ২০২৪) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
আদেশে বেনজীরের নামে ৮৩টি দলিলে বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ 'ক্রোক' ও ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট 'ফ্রিজের' নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ (মে ২৪, ২০২৪) ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী, ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘ব্যক্তি অপরাধ করতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার তাকে প্রটেকশন দিচ্ছে কি না?
শেখ হাসিনা আমাদের প্রধানমন্ত্রী, তিনি এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে আছেন৷ কাজেই অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে আমরা দেখি। সে যে-ই হোক, যত প্রভাবশালীই হোক, অপরাধ করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।"
তিনি আরো বলেন, 'বিচার বিভাগ স্বাধীন, দুদক স্বাধীন। সেখানে যদি অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয় কেউ, আমরা কেউ প্রোটেকশন দিতে যাব না। তিনি সাবেক আইজিপি হোন নাকি সেনাপ্রধান হোন।'
উল্লেখ্য সাবেক এই আইজিপি'র বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কী বার্তা দিচ্ছে?
----------------------------------------
উক্ত শিরোনামে সৌমিত্র শুভ্র বিবিসি বাংলা মে ২১, ২০২৪-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে:
"জেনারেল (অব.) আজিজের অবসরের প্রায় তিন বছর পর এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক নির্বাচন ও গণতন্ত্র ইস্যুতে সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে নতুন ঘোষণাটির তাৎপর্য কী?
'বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে দেশটিতে।
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করা ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণ দেখিয়ে মে ২০, ২০২৪-এ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে।'
রাজনীতিবিদদের ক্ষমতায় থাকার কোনো বয়সসীমা নেই, তারা আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারেন। অপরদিকে, সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, নির্দিষ্ট বয়সসীমায় তাদেরকে অবসরে যেতে হয়। চাকরি জীবনে কোন বেআইনি বা অঘটন কিছু ঘটালে তার কাফফারা দিতে হয় অবসরে যাওয়ার পর। একজন সাবেক সেনাপ্রধান এবং সাবেক পুলিশ প্রধানের ব্যাপারে তাই ঘটেছে।
সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলো প্রত্যক্ষ করে অবসরে যাওয়া এবং বর্তমানে কর্মরত সকল উচ্চ পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাগণ তাদের নিজ নিজ আসনে নড়েচড়ে বসছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।