today visitors: 5073432

সুযোগ দিন— কাজ করে দেখিয়ে দিব [] বুলবুল মন্ডল

দেশের কথিত নামে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা শ্রীপুর।প্রিয় শ্রীপুর পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো একজন যোগ্য নগর সেবক, যে অন্তত বুঝবেন জনগণের ভাষা। জনগণ চায় নতুন নগর সেবক তাদের জনদূর্ভোগ লাগবে নিষ্ঠার সাথে কাজ করবেন। পৌরসভার প্রতিটি কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সহ সকলপ্রকার অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে স্পষ্টত।

ভাওয়াল গড়ের অন্যতম জনপদ শ্রীপুর পৌরসভার সন্তান হিসেবে আমিও প্রার্থী হয়েছি। অন্যদের বিষয়ে জানি না, তবে দল থেকে নমিনেশন চাইবো। দল যদি আমাকে উপযুক্ত মনে করে তাহলে অবশ্যই দলকে বিজয় উপহার দিব। অন্য কাউকে যোগ্য মনে করলে আমি তার হয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিতকল্পে অবিরাম কাজ করে যাব। কেননা আমার কাছে মেয়র হওয়ার চাইতে দল অনেক বড়। আর দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কখনোই কিছু করি নাই, কখনো করবোও না।

তবে হ্যাঁ, নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই নির্বাচন করব। কেননা নিজ জন্মস্থানকে দেওয়ার অনেক কিছুই বাকি আছে। আমি যেমন আমার দলকে ভালোবাসি ঠিক একই ভাবে জন্মস্থানের প্রিয় পৌরবাসিকেও অন্তর থেকে ভালোবাসি। আর আমার আজকের এখানে আসার পেছনে প্রিয় পৌরবাসির দোয়া, ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা ছিল।

অন্যরা কে কি বললো তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। আমি আমার কথা বলতে চাই! কেননা আসন্ন শ্রীপুর পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে চাইছে। নিজেকে জনসম্মুখে তোলে ধরতে কেউ কেউ ভিন্ন ভিন্ন চটকদার প্রচারণার চেষ্টা করছেন। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন জনসম্মুখে গেলে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগরবাসীর কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। অন্যেরা এরিয়ে গেলেও আমি উত্তর দিতে প্রস্তুত। কেননা আমার পৌরবাসী সচেতন। সেজন্য পৌরবাসীকে বিনয়ের সাথে কিছু কথা বলতে চাই। তারাই সিদ্ধান্ত নিবে তাদের ঘরের সন্তান বুলবুল মন্ডলকে সেবা করার সুযোগ দিবে কিনা।

জনগণের কাছে যাওয়ার কিংবা তাদের সেবা করার অন্যতম মাধ্যমই হচ্ছে রাজনীতি করা, জনপ্রতিনিধি হয়ে সেবার পরিধি আরো বাড়ানো সম্ভব হয়। তবে হ্যাঁ, এর বাইরে থেকেও সেবা করা গেলেও সেক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থেকে যায়। আর আমি ছাত্রকাল থেকে রাজনীতি করছি। জনপ্রতিনিধি হয়ে জনসেবা করার আকাংখা থাকাটা আশা করি দোষের কিছু না।

ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি, আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেদিক দিয়ে মার্কাও নৌকা থাকাটাই স্বাভাবিক। আর আমার কাছে মেয়র হওয়ার চাইতে দলের সিদ্ধান্ত বড়। আমি যেমন দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারি না ঠিক একইভাবে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আর যেহেতু স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে সেদিক দিয়ে দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করব না। আর যদি দলীয় প্রতীক না থাকে তাহলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করব। অচিরেই আমি আমার নির্বাচনী মেনুফেস্টু জনগনের বোধগম্য হয় এমন ভাবে তুলে ধরব ইনশাআল্লাহ।

আমি গতানুগতিক নির্বাচনী ওয়াদা বা বেফাঁস বক্তব্যের ঘোর বিরোধী। অন্যদের মত বড় বড় লেকচার না দিয়ে যতটুকু করতে পারব ততটুকুই বলব। এবং তা পূরণে ব্যর্থ হলে ২ বছরের মধ্যে পদত্যাগ করব। এবং প্রকাশ্যে দায় স্বীকার করে নিয়ে রাজনীতি থেকে আজীবনের জন্য অব্যবহিত দিব।

অনেকের মাথা ব্যথার কারণ নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে। বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনার জন্য ইতোমধ্যে পৌরবাসীকে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। যেটা সত্যিই দুভাগ্যজনক। অযোগ্য, অথর্ব লোকের কাছে পৌরসভার দায়িত্ব দিলে যা হয় তা নগরবাসী হারে হারে টের পেয়েছে। আমি বুলবুল মন্ডল ক্লীন এন্ড গ্রীণ সিটির স্বপ্ন দেখি। সেদিক থেকে পৌর সেবক হলে আমার প্রথম ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার একটি থাকবে পরিচ্ছন্ন ও সবুজাভ জনপদের অঙ্গিকার। এই পৌরসভায় আন্তর্জাতিক মানের ডাম্পিং ষ্টেশন করার পরিকল্পনা ও অতিদ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা থাকবে।

শুধু বাৎসরিক পৌর বাজেট প্রণয়ন, প্রকাশ এ জাতীয় অনুষ্ঠানে নয়, আমি সামগ্রিক পৌরসভার উন্নয়ন ও পরিকল্পনার কাজে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে, তাদের অংশগ্রহনে জবাবদিহিতা মূলক পৌরসভা নিশ্চিত করব। সেইসাথে দীর্ঘদিনের ঝেঁকে বসা দুর্নীতির মূল উৎপাটন করব। জনগণের সেবা নিশ্চিতকল্পে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহনে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে।

একটি আধুনিক পৌরসভা গঠনের সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেওয়া হবে। জনগণের দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গিকার হবে আমার নির্বাচনী স্লোগান। অতিরিক্ত টেক্সের বুঝা কমানো, প্রত্যেক বাড়িতে নাম্বার হোল্ডিং লাগানো।

যেহেতু পৌর আয় ব্যয় জনগণের সুতরাং বাৎসরিক আয় ব্যয়ের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। আমি রাষ্ট্র কিংবা জনগণের এক চিমটি আমানতের খেয়ানত করব না।

আমি বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী। আমি আমার দলের গঠনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর আমার দল এদেশের গণমানুষের দল। এর বাইরে থেকেও দলমত নির্বিশেষে আপামর জনসাধারনের সেবক হওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা আমার আজন্মের। আমি অতিসত্বর আমার নির্বাচনী প্রাথমিক ইস্তেহার নিয়ে হাজির হবো। অন্যের মত লুকোচুরি কিংবা ছলচাতুরী আমার স্বভাব বিরোধী।

আর পৌরসভার অভ্যন্তরে কেবল বন কর্মকর্তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড রহিত করণ নয়, সকল প্রকার দুর্বিত্তায়নের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে স্পষ্ট। জনগণকে জিম্মি করে এমন সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হবে। মানুষ প্রাণভরে নিশ্বাস নিবে।

নির্মল সবুজাচ্ছন্ন শহর, বসবাসের উপযুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরায়ন, সকলপ্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি, জবাবদিহিতামূলক পৌরসভার স্বপ্ন আমার আজন্মের। শাসক নয়, নগর পিতাও নই আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে, পৌর সেবক হিসেবে পাশে থাকতে চাই। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আপনাদের পাশে ছিলাম আছি থাকবো ইনশাল্লাহ। সবাইকে সাথে নিয়ে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই— পাশে চাই।